৫জি চালুর প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন বিমান সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, বিমান বন্দর এলাকায় ৫জি চালু থাকলে উড়োজাহাজ চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটতে পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড গতকাল বুধবার তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, এয়ারপোর্টের রানওয়ের কাছে সি-ব্যান্ড ৫জি সিগন্যাল থাকলে বিমানের নেভিগেশন সিস্টেম বিঘ্নিত হতে পারে- এমন আশঙ্কায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার হিথ্রো থেকে বোস্টন, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোগামী কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।
এছাড়াও বোয়িং-৭৭৭ মডেলের উড়োজাহাজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উচ্চ ঝঁকিতে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (সিএএ) এ বিষয়ে এয়ারলাইন্সগুলোকে ‘নিরাপত্তা পরামর্শ’ দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি। যদিও আমাদের কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছিল। তারপরও আমরা আমাদের গ্রাহকদের সাময়িক এই অসুবিধা কমানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এর অংশ হিসেবে আমাদের কিছু ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিমান পরিবর্তন করা হয়েছে।
যাতে বিকল্প এই বিমানে করে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। এছাড়াও যেসব যাত্রীদের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে অথবা তারা অন্য বিমানে আবারও যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
এদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সগুলো তাদের যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি বিমানবন্দরে গতকাল বুধবার থেকে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত বিমান পরিষেবা স্থগিত করেছে এমিরেটস এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। এজন্য তারা যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছে, ৫জি চালু নিয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে তারা খুবই নিবিড়ভাবে কাজ করছেন।
এছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়া, নিপ্পন এয়ারওয়েজ, জাপান এয়ারলাইন্স ও কোরিয়ান এয়ারওয়েজ যুক্তরাষ্ট্রগামী তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। তবে, আরেকটি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কোম্পানি ভার্জিন আটলান্টিক যুক্তরাষ্ট্রগামী তাদের বিমান পরিষেবা যথারীতি চালু রেখেছে। অবশ্য কোম্পানিটির বহরে বোয়িং ৭৭৭ মডেলের কোনো বিমান নেই।