ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফোর-জি নেটওয়ার্ক নিশ্চিতের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি চলছে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। তবে তরঙ্গ নিলামের আগে অবকাঠামো উন্নয়ন ও গাইডলাইন তৈরির ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। একই সাথে কম দামে তরঙ্গ নিলামে সেবার মানও বাড়বে বলছেন তারা। অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোকে কমপক্ষে ১০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়ার কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
কয়েকমাস আগেই টেলিটকের হাত ধরে ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করে দেশ। ১০০ মেগাহার্জ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টেলিটকের অনুকূলে ৬০ মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসি।
এদিকে রবি, গ্রামীণফোন ও বাংলালিঙ্ক এই তিন অপারেটরের জন্য ৩১ মার্চ তরঙ্গ নিলামের কথা রয়েছে। তবে নিলামের আগেই ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে প্রবেশের বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা জানায় অপারেটররা।
রবির চীফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদুল আলম জানিয়েছেন, দেশে ফাইভ-জির মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে ১০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ প্রয়োজন।
এছাড়াও প্রয়োজনীয় তরঙ্গ পেতে তরঙ্গমূল্য নির্ধারণে বিশেষ বিবেচনা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একইসাথে তরঙ্গ নিলামের আগে অবকাঠামো উন্নয়ন ও গাইডলাইন তৈরি প্রয়োজন বলে মনে করছেন অপারেটররা।
এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি জানায়, নিলামের এক সপ্তাহ আগে তরঙ্গের প্রাথমিক মূল্য নির্ধারণ করা হবে। নিলামে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই তরঙ্গের দাম বাড়ায়।
এদিক তরঙ্গের দাম আকাশ ছোয়া নয় জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, প্রতিষ্ঠানগুলোকে কমপক্ষে ১০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হবে। একই সাথে থাকবে গাইডলাইনও।
ফাইভ-জি সেবা নিশ্চিতে জেলা পর্যায়ে ৩০০ জিবিপিএস এবং উপজেলা পর্যায়ে ১০০ জিবিপিএস গতির ইন্টারনেট সরবরাহে অপটিক্যাল ফাইবার উন্নয়নে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে এক হাজার ৫৯ কোটি টাকা। মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত।