‘ইন্টারনেটের ব্যবহারের কথা এখন আর কাউকে গিয়ে বলতে হয় না, বন্যার সময় আমার এলাকার এক প্রবীণ নারী যাকে আমি চাচী ডাকি তার খোঁজ-খবর নিতে ফোন করলে তিনি আমার কাছে চিড়া-গুড়ের সঙ্গে ইন্টারনেট চেয়েছেন, বিদেশে থাকা সন্তানকে ঘরের পানির পরিস্থিতি দেখানোর জন্য। বাংলাদেশ এখন এই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যে চিড়া-গুড়ের আগে ইন্টারনেট দিতে হয়’, কথাগুলো বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার, ১৫ অক্টোবর রাজধানীর বনানীতে ইন্টারনেটে সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি আয়োজিত আইপিভি ৬ রাউটিং ডেপ্লয়মেন্ট কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এমনটাই বলেন মন্ত্রী।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘দেশে এখন ৩৮৪০ জিবিপিএএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। ২০৪১ সাল নাগাদ দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ৪ হাজার জিবিপিএস ছাড়িয়ে যাবে। চাহিদা পূরণ করতে আমরা সিমিউই ৬-এ যুক্ত হয়েছি।’
আইপিভি ৬ ডেপ্লয়মেন্ট না করা হলে দেশ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আইপিভি ৬ এ যেতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। দরকার হলে আইপিভি ৬ চালানো সম্ভব নয় এমন রাউটার আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদু হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবির এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইবিপিসি সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান।