বাড়তে পারে গ্রামীণফোনের কলরেট। মূলত, এসএমপির নতুন বিধিনিষেধে কলরেট বাড়ানোর নির্দেশনা আসছে।
বুধবার টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৈঠকে টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকসহ বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিয়ে জিপির ওপর বাড়তি কড়া নজর রাখা হবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যদি সেবার মান সন্তোষজনক না হয় তাহলে নতুন গ্রাহক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনকে গত ফেব্রুয়ারিতে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করে বিটিআরসি। এরই ধারাবাহিকতায় প্যাকেজ, অফার, কলরেটসহ নতুন সেবার তথ্য জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এসএমপি অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোনের করণীয় ও বর্জনীয় কার্যক্রম নির্ধারণ করে বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়, অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বতন্ত্র ও একক স্বত্বাধিকার চুক্তি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির কোনোভাবেই মাসে কল ড্রপের সর্বোচ্চ হার ২ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি সেবার (এমএনপি) লক ইনের মেয়াদ হবে ৩০ দিন।
তবে মার্চে এসএমপি অপারেটর হিসেবে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটিকে দেয়া চিঠিতে গ্রামীণফোনের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হয়।