ঢাকায় শুধু গত বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় প্রবেশ করেছে প্রায় ৭ লাখ মোবাইল ফোন সিম। একই সময়ে রাজধানী থেকে বাইরে গেছে প্রায় দেড় লাখ সিম। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) ডেটাবেজ ও কলপ্রবণতা বিশ্লেষণকারী একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রতিদিন ঢাকায় আসা ও বাইরে যাওয়া সিমের সংখ্যা কাছাকাছি থাকে। সাধারণত এ সংখ্যা দুই লাখের কাছাকাছি। তবে কয়েক দিন ধরে যে সংখ্যক সিম বাইরে যাচ্ছে, ঢাকায় ঢুকছে এর চেয়ে অনেক বেশি। গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে প্রায় ৭ লাখ সিম প্রবেশ করেছে।
অনেকেই বলছেন, বিএনপির আগামীকালের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এসব সিম ঢাকায় ঢুকেছে। আসলে গত চব্বিশ ঘন্টায় কি পরিমান সিম ঢাকায় ঢুকেছে সাত লাখ না কি কম বা বেশি। এমন প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগোযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, সাত লাখ সিম যে ঢাকায় ঢুকেছে সেই তথ্যের উৎস কি?
তিনি বলেন, কতটা সিম ঢাকায় ঢুকেছে সেই তথ্য ঘোষনাকারী কর্তৃপক্ষ আমি। এখনো এরকম কোন পরিসংখ্যান আমরা তৈরি করিনি। তাহলে সাত লাখ সিম ঢাকায় ঢুকেছে সেই খবরের ভিত্তি কি?
তিনি বলেন, কি পরিমান সিম ঢুকেছে এই পরিসংখ্যান তৈরিতে প্রথমে অপারেটরদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বিটিআরসি সেই তথ্য কম্পাইল করে তারপর আমি সেই তথ্যেকে প্রকাশ্যে ঘোষণা করি। এখানে লুকোচুরির তো কিছু নেই।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশপথে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। দূরপাল্লার বাসগুলোকে চেক করে তবেই ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে পথচারীসহ সাধারণ যাত্রীদের। তল্লাশির সময় কাউকে সন্দেহ হলে আটকও করা হচ্ছে।
রাজধানীর অন্যতম প্রবেশ পথ যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, মৌচাক, মদনপুর, মেঘনা টোল প্লাজার সামনে মোট চারটি পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া নয়াপল্টন এলাকায় প্রবেশে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। চেক করছে মোবাইলফোনও।
অলিগলিতে বেরিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন পুরো এলাকার দোকান-পাট, মার্কেটও বন্ধ রয়েছে। যানবাহন চলাচল সীমিত হলেও জরুরি প্রয়োজনে মানুষকে যেতে দেওয়া হচ্ছে।