গত রোববার নেপালে ঘটল ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনা। মৃত্যু হয়েছে বিমানকর্মী ও যাত্রীসহ মোট ৬৮ জনের। ৭২ জনকে নিয়ে পোখারার দিকে যাত্রা করার সময় মাঝামাঝি একটি বনভূমি এলাকায় ভেঙে পড়ে বিমানটি। ঠিক কি কারণে এমন দুর্ঘটনা তা বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কেউ কেউ দাবি করছেন, বিমান দুর্ঘটনার কারণ ফাইভজি নেটওয়ার্ক ও মোবাইল। খবর এই সময়।
বিমান আকাশে উড্ডয়ন থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোন বন্ধ কিংবা ফ্লাইট মোডে রাখার নির্দেশ দিয়ে থাকে বিমান কর্তৃপক্ষ। কেননা মোবাইল সিগন্যালের কারণে অনেক সময় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অসুবিধা হয়। পাশাপাশি এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের পাঠানো সিগন্যাল পেতে সমস্যা হয় বিমানচালকের। এই সিগন্যালের সমস্যায় অনেক সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে বলে মনে করা হয়। যদিও বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, মোবাইল টাওয়ারের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই বললেই চলে। মোবাইল বন্ধ রাখতে বলা হয় নিরাপত্তাজনিত কারণে।
নেপালের বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ফাইভজিকে দোষারোপ করা সঠিক নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। কারণ এখনও ফাইভজি নেটওয়ার্কের সি-ব্যান্ড বসানো শুরু হয়নি নেপালে।
তবে ফোর্বসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফাইভজি নেটওয়ার্কের সি-ব্যান্ডের কারণে বিমানের রেডিও অল্টিমিটার ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তা বিকলও হয়ে যেতে পারে। যে কারণে বিমান ভেঙে পড়ার মতো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।