ফাইবার ক্যাবল বিচ্ছিন্নের কারণে সারাদেশে নেটওয়ার্ক বিপর্যয় হয়েছে- গ্রামীণফোনের এমন বক্তব্য যুক্তিসঙ্গত নয় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এমনটাই জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জিপির প্রায় ৯ কোটি গ্রাহক এই দুই ঘণ্টা নেটওয়ার্ক ভোগান্তিতে পড়ে এবং অনেক গ্রাহক মনে করেছিল- তাদের হ্যান্ডসেটে সমস্যা কিংবা সিমের সমস্যা। পরবর্তীতে জানা গেল জিপির বক্তব্য থেকে যে- টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জে ফাইবার কেবল কাটা পড়ার কারণে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই দুই ঘণ্টা যারা জিপির নম্বর দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা করেছিল তারা এই সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার, জিপির এই ‘ঘোড়া’ যুক্তি মোটেও বাস্তবসম্মত নয়। প্রথমত, যদি টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জে ফাইবার কেবল বিচ্ছিন্ন হয়, তাহলে সারাদেশে নেটওয়ার্ক বিপর্যয় হলো কেন। দ্বিতীয়ত, ওই ফাইবার যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট অথবা ফাইবার হয়ে থাকে তাহলে অন্য অপারেটরদের একইভাবে নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়ার কথা কিন্তু তা হয়নি। তৃতীয়ত, জিপি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ফাইবার কানেকশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সার্ভিস দিয়ে থাকে। তারা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে মোবাইল নেটওয়ার্ক সক্রিয় করে রাখে।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি সাময়িক সময়ের জন্য ফাইবার কানেকশন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এটা ধরা হয়, তাহলেও তারা মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সার্ভিস দিতে পারত। হতে পারে নেটওয়ার্ক অতটা স্ট্রং হতো না তবে মোটামুটি সার্ভিস দিয়ে রাখতে পারত। আমাদের ধারণা, গ্রামীণফোন সত্য গোপন করেছে। হতে পারে তাদের সুইচিং অপারেশনে বড় কোনো বিপর্যয় ঘটেছে। কমিশনের উচিত দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত সত্য বের করা।
একই সঙ্গে গ্রাহকদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া জিপির একান্ত দায়িত্ব বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।