কয়েক বছর আগে বিশ্বে ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং ভারতের মতো দেশগুলোয় এর বাস্তবায়ন সম্প্রতি তুমুল আলোড়ন তৈরি করছে। রীতিমতো ফাইভজি প্রযুক্তির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে টেক জায়ান্টদের মধ্যে। পাশাপাশি এর সঙ্গে স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির উদ্ভাবন ও রূপান্তরের একটি নতুন যুগও শুরু হয়েছে।
গিজমোচায়নার প্রতিবেদন বলছে, ৫ বছরে ফাইভজি প্রযুক্তি স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির রূপ বদলে দেবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনটি উপায়ে স্মার্টফোনের বাজারে পরিবর্তন আনবে ফাইভজি।
প্রথমত উন্নত প্রযুক্তির স্মার্টফোন: ফাইভজি প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে নতুন যুগের সূচনা করবে। ফাইভজির কল্যাণে নেটওয়ার্কের স্থিতিশীলতা, ডাটা ডাউনলোড এবং আপলোড গতি অকল্পনীয়ভাবে বেড়েছে। এর ফলে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর), মিক্সড রিয়ালিটি (এক্সআর) এবং অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ব্যবহার ব্যাপক বাড়বে। বর্তমানের মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ডিভাইসগুলো এসব সুবিধার বিচারে অনেক পিছিয়ে। সুতরাং ফাইভজি প্রযুক্তির স্মার্টফোনের প্রতি ব্যবহারকারীরা আরো বেশি আকৃষ্ট হবেন এবং পাবেন চাহিদা অনুযায়ী অভিজ্ঞতা।
দ্বিতীয়ত বিস্তৃত ফাইভজি কভারেজ: টেলিযোগাযোগ খাতে প্রভাব ফেলতে শুরু করবে ফাইভজি প্রযুক্তি। এখন পর্যন্ত প্রায় সব বাণিজ্যিক ফাইভজি স্থাপনা নির্ভর করে নন-স্ট্যান্ডাবল ফাইভজির (এনএসএ ফাইভজি) ওপর। এটি নতুন রেডিও প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। তবে এখনো বিদ্যমান নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর ওপরও এটি কিছুটা নির্ভর করছে। এর অর্থ হলো, টেলিকম জায়ান্টরা উন্নত মোবাইল ব্রডব্যান্ডের জন্য বিদ্যমান ইকোসিস্টেম এবং মডেলগুলোর পরিবর্তে আরো শক্তিশালী ফাইভজি প্রযুক্তি স্থাপন করতে পারে। যেখানে আরো শক্তিশালী এবং বিস্তৃত ফাইভজি কভারেজ থাকবে। যার অর্থ স্মার্টফোনগুলো শুধু দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতেই করতে সক্ষম হবে না বরং আরো বেশি সময় দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাবে।
তৃতীয়ত সাশ্রয়ী মূল্যে স্মার্টফোন: প্রিমিয়াম ফাইভজি স্মার্টফোনের দাম প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি টেলিকম খাতের ব্যবসা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। টেলিকম কোম্পানিগুলো ফাইভজি স্মার্টফোনে আপগ্রেড করতে গ্রাহকদের আরো আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় দিতে পারে। একইভাবে টেলিকম কোম্পানিগুলোকে সন্তুষ্ট করতে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো আরো কম মূল্যে ফাইভজি স্মার্টফোন বাজারে আনবে। এসব কারণে গ্রাহকের মধ্যে ডিভাইস পরিবর্তনের হার বাড়বে এবং সামগ্রিকভাবে বাজার অনেকটাই বদলে যাবে।