সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার-এসএমপির বিধিনিষেধের কারণে কলরেট বাড়াচ্ছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। নতুন কলরেট অনুযায়ী সর্বনিম্ন কলরেটে আরও ৫ পয়সা যোগ করা হচ্ছে গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে।
অর্থাৎ আগে যেখানে গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা প্রতি মিনিট সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা কথা বলতে পারতেন, সেখানে এখন তা হয়ে যাচ্ছে ৫০ পয়সা।
এছাড়া গ্রামীণফোনের গড় কলরেট ৭০ পয়সা প্রতি মিনিট। অর্থাৎ কলরেট বাড়ানোর ফলে তা গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের ওপর বাড়তি প্রভাব ফেলবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মঙ্গলবার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। কলরেট বাড়ানোর বিষয়টি গ্রামীণফোনকে চিঠির মাধ্যমে জানাবে বিটিআরসি।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল বিটিআরসিতে এক বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান জহুরুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কলরেটের পাশাপাশি গ্রামীণফোনের ইন্টার কানেকশন বা আন্তঃসংযোগ চার্জও বাড়ানো হয়েছে।আন্তঃসংযোগ চার্জ মূলত যখন কোন অপারেটর থেকে অন্য কোন অপারেটরে কল করা হয়, তখন যে অপারেটরে কল যাবে তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পায়। সেই চার্জেও এখন নতুন করে ৫ পয়সা যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু গ্রামীণফোনে অন্য অপারেটর থেকে আসা কলের ক্ষেত্রে আন্তঃসংযোগ চার্জ আগেরটাই বহাল থাকছে।
এসব ছাড়াও অপারেটরটির কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিয়ে বাড়তি কড়া নজর রাখা হবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যদি সেবার মান সন্তোষজনক না হয় তাহলে নতুন গ্রাহক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে।
এর আগে গত ১৯ মার্চ আগের বিধিনিষেধ বাতিল করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তখন বিধিনিষেধ সংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে প্রক্রিয়াটি নতুন করে শুরু করে কমিশন।
গ্রামীণফোনকে গত ফেব্রুয়ারিতে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর চারটি বিধিনিষেধ আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তবে ওই সময় শর্ত আরোপের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণভাবে বিধি না নামার কারণে আগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়।
এ প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল এসএমপি ঘোষিত অপারেটরকে তাদের ওপর আরোপ হতে চলা বিধিনিষেধ সম্পর্কে অবহিত করে মতামত জানতে চাওয়া।
গত ১৯ মার্চ বিটিআরসি ১৫ দিনের সময় দিয়ে গ্রামীণফোনের কাছে মতামত চায়। অপারেটরটি তাদের মতামত জানায়।