প্রায় এক কোটি পুরোনো সিম নতুন গ্রাহকদের দিতে পারছে না মোবাইল অপারেটররা। বহুদিন অব্যবহৃত থাকলেও বিকাশ, রকেটসহ বিভিন্ন এমএফএস অ্যাকাউন্ট বন্ধ না হওয়ায় এসব সিম পুনঃব্যবহার করা যাচ্ছে না। অপারেটরদের অভিযোগ, তথ্য দেওয়ার পরেও বিধিমালা অনুযায়ী অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করছে না এমএফএস প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
কোনো মোবাইল সিম টানা দেড় বছর অব্যবহৃত রাখলে আইন অনুযায়ী সেটির মালিকানা হারান গ্রাহক। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি বলছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত পুনঃব্যবহার উপযোগী এমন ৮ কোটি ৭১ লাখ সিম বিক্রি করেছে অপারেটররা।
তবে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বা এমএফএস একাউন্ট বন্ধ না হওয়ায় প্রায় এক কোটি নম্বর নতুন গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে পারছে না অপারেটররা। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ২০ লাখ ও রবির ৬০ লাখ সিম রয়েছে।
গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বলেন, ‘এমএফএস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চার বছরের বেশি সময় ধরে এসব সিমের তথ্য দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে। তবে আর্থিক লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধ না হওয়ায় এসব পুনঃব্যবহার উপযোগী নম্বর বিক্রি করা যাচ্ছে না। এ জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ‘কোনো সিম পুনঃব্যবহার উপযোগী করার তথ্য পাওয়ার পর এমএফএস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের দাবিদার না পাওয়া গেলে ১০ বছর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ২ বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সেই অর্থ গচ্ছিত থাকবে। এরপর তা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।’
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অপারেটরার এই সমস্যার বিষয়ে অবহিত করলে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনা করা হবে।’
বিষয়টি পদ্ধতিগতভাবে দ্রুত সুরাহার জন্য বিটিআরসির কাছে একটি গাইডলাইন চেয়েছে মোবাইল অপারেটররা।