অডিট আপত্তির ১৬৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) গিয়ে সরাসরি জমা দিয়েছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংক। রোবাবর (১৯ নভেম্বর) তারা এ টাকা জমা দেয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির কমিশনার (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) ড. মুসফিক মান্নান চৌধুরী।
তবে ইনফরমেশন সিস্টেমস-সংক্রান্ত অডিট আপত্তির বিলম্বিত ফি ৪৩০ কোটি টাকা এখনো পরিশোধ করেনি অপারেটরটি। তারা অডিট দাবির মূল টাকা জমা দিয়ে বিটিআরসির কাছে সময় আবেদন করেছেন।
বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অডিট আপত্তির ১৬৫ কোটি টাকা পরিশোধ করায় বিলম্ব ফি মওকুফ নিয়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হলো বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির কমিশনার মুসফিক মান্নান চৌধুরী। এখন অপারেটরটির দাবি বিবেচনার বিষয়টিও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও।
জানা গেছে, অডিট আপত্তির মূল টাকা পরিশোধে বাংলালিংককে ১০ দিন সময় দিয়েছিল বিটিআরসি। বেঁধে দেওয়া সময়ে টাকা পরিশোধ না করলে ব্যান্ডউইথ ক্যাপিংসহ আইন অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবেছিল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টাকা পরিশোধ করেছে বাংলালিংক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলালিংকের কাছে অডিট আপত্তিতে সরকারের মোট পাওনা দাবি ৮২৩ কোটি ৫ লাখ ৬ হাজার ১৫৫ টাকা। এরমধ্যে বিটিআরসির পাওনা ৮১১ কোটি ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ১৭৩ টাকা। যেখানে এখন সব মিলিয়ে মূল পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩৯০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
এরমধ্যে অডিট দাবির মূল টাকা ১৬৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর ইনফরমেশন সিস্টেমস-সংক্রান্ত অডিটের বিলম্বিত ফি ৪৩০ কোটি টাকা। এ ফির জন্য বিটিআরসির কাছে বাংলালিংক সময় চেয়ে আবেদন করেছে।
এদিকে, বাংলালিংকের কাছে টু-জির ভ্যাট-সংক্রান্ত ২২৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা পাবে বিটিআরসি। যার মধ্যে ১০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা কিস্তিতে শোধ করছে তারা। এ সঙ্গে বিলম্বিত ফি আছে ৪০৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।