বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতিগত হস্তক্ষেপের পরও দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য নাগালের বাইরে রয়ে গেছে—এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোবাইল অপারেটরদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, “ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার বাধ্য হবে কঠোর পদক্ষেপ নিতে।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় তোলা হবে সব ইস্যু ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইন্টারনেটের দাম নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে।
“যারা এখনো আলোচনায় অনুপস্থিত, তাদের সতর্ক করা হয়েছে। মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে বকেয়া পরিশোধ, লাইসেন্স নবায়ন, পারফরম্যান্স রিভিউসহ সব কিছুই আলোচনার টেবিলে তোলা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কারো ব্যবসায়িক পথ বন্ধ করতে চাই না। তবে জনগণের জন্য মানসম্মত, সাশ্রয়ী ইন্টারনেট নিশ্চিত করতেই হবে।
অপারেটরদের সহযোগিতা না পেলে সরকার বিকল্প পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।”
বিটিআরসি’র প্রস্তুতি
সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, “ইন্টারনেটের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত শুধু বিটিআরসির একক বিষয় নয়, এটি পুরো ইকোসিস্টেমের চ্যালেঞ্জ।”
তিনি জানান, অপারেটরদের অংশগ্রহণে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। প্রয়োজনীয় রেগুলেটরি প্রস্তুতিও সম্পন্ন।
নারী-পুরুষ সমতায় প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ
আগামী ১৭ মে উদযাপিত হবে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৫’। এবারের প্রতিপাদ্য—“ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন” শুধু শ্লোগান নয়, বরং প্রযুক্তিতে নারীদের প্রবেশাধিকার ও নেতৃত্ব নিশ্চিত করার একটি বাস্তব চ্যালেঞ্জ বলেও উল্লেখ করা হয়।
আইটিইউ’র তথ্যমতে, বিশ্বে এখনো ২.৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেটের বাইরে, যার একটি বড় অংশই নারী। উন্নত দেশে ডিজিটাল বিভাজন কমলেও স্বল্পোন্নত ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে নারীরা এখনো পিছিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্বে) জহিরুল ইসলাম, বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ খাতসংশ্লিষ্টরা।