ফেসবুকে ভালো পোস্ট দিয়েও অনেকে খুব বেশি সাড়া পান না। আবার অনেকের গুরুত্বহীন স্ট্যাটাসেও রিয়্যাক্ট দিতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে! এ কারণে অনেককেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, ‘আপনার পোস্টে এত রিঅ্যাকশন পড়ে কীভাবে?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে রিঅ্যাকশন পেয়ে খুশি হতে চান অনেকেই। তাদের জন বাস্টল ডটকম একটি উপায় বাতলে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মতে, সঠিক সময়ে পোস্ট করলে বেশি রিঅ্যাকশন পাওয়া যায়।
প্রতিষ্ঠানটি চার মাস ধরে ১৪ কোটির বেশি পোস্টের শত কোটি লাইক বিশ্লেষণ করে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, সবচেয়ে বেশি লাইক পাওয়া যায় সপ্তাহের কাজের দিনেগুলোতে- সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে।
এরপর দুই ঘণ্টা লাইকের স্রোতে ভাটা থাকে বলা যায়। এই সময়ে অনেক মানুষই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে খানিকটা দূরে থাকেন। ফের সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে পোস্ট দিলে আপনি লাইকের জোয়ার ধরতে পারবেন।
এদিকে ফেসবুকের রিচ বাড়াতে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন মার্ক জুকারবার্গ-
নিয়মিত পোস্ট দিতে হবে
ফেসবুকে পোস্ট রিচ বাড়াতে চাইলে গ্র“পে, প্রোফাইলে এবং অবশ্যই পেজে প্রতিদিন ৫-৭টা করে পোস্ট করতে হবে।
পোস্টের লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার সংখ্যা হিসাব
কোনো পোস্টের লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার কি পরিমাণ রয়েছে, সেটির ওপর ফেসবুক পোস্টটির গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করে। এর মধ্যে শেয়ারের ভ্যালু বেশি, ২য় হচ্ছে কমেন্ট, ৩য় হচ্ছে লাইক।
ব্যবহারকারী যেসব পেজে যুক্ত থাকেন
পেজের আগের পোস্টগুলোতে যে মেম্বার কোনো ধরনের অ্যাংগেজ ছিল না, সেই পোস্টকে ওই মেম্বারের নিউজফিডে প্রদর্শন করবে না। সুতরাং পেজের ১ লাখ মেম্বার থাকলেও লাভ নেই, যদি কোনো পোস্টে তাদের অ্যাংগেজমেন্ট না থাকে। তাই প্রতিদিন কিছু অ্যাংগেজমেন্ট পোস্ট করতে হবে।
পূর্বের পোস্টের ধরন
একজন ব্যবহারকারীর আগে যে ধরনের পোস্টগুলো পড়ছে কিংবা কমেন্ট, লাইক করেছে, সে ধরনের পোস্টগুলোই বারবার প্রদর্শন করবে।
নেগেটিভ ফিডব্যাক বিবেচনা
পোস্ট কিংবা পেজে যদি কেউ রিপোর্ট করে কিংবা আনফলো করে তাহলে সেই পেজের কিংবা সেই ব্যক্তির পোস্টের রিচ ফেসবুক অনেক কমিয়ে দেয়।
কতটা উপকারী পোস্ট
পোস্টটি মানুষজনের জন্য কতটা উপকারী কিংবা কতটা পছন্দ করেছে, সেটির ওপর ফেসবুক আপনার পোস্টের গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করে এবং সেভাবে রিচ বাড়িয়ে দেয়।