দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন একটি মীমাংসিত বিষয় আদালতের নির্দেশনায় পুনরুজ্জীবিত হওয়ার জেরে বাণিজ্য বিরোধে জড়িয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এরই মধ্যে বিরোধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার টেক জায়ান্ট স্যামসাং চলতি মাসে কোম্পানির সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন এক্সিনোস ৯৮২৫ চিপসেটের উৎপাদন কমিয়েছে। খবর জিএসএম এরিনা।
স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাত্কারে স্যামসাংয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি বছর এক্সিনোসের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ১০ ভাগ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এ প্রসেসর গ্যালাক্সি নোট ১০ ডিভাইসে ব্যবহারের কথা রয়েছে। তবে আগামী মাসে এ ঘাটতি উৎপাদন পূরণ করা হবে।
১৯১০-৪৫ সালে ঔপনিবেশিক আইনের আওতায় কোরিয়ার নাগরিকদের বাধ্যতামূলক শ্রমের বিধান করেছিল জাপান। ১৯৬৫ সালে সেটির ফয়সালাও করে দুই দেশ। তবে গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট রুল জারি করে জাপানি নিপ্পন স্টিল কোম্পানিকে সেই ‘শ্রমিক নির্যাতনের’ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন। এ থেকেই দুই দেশের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত।
জানা গেছে, স্মার্টফোন ও টেলিভিশনের ডিসপ্লে তৈরিতে ব্যবহূত ফ্লুরিনেটেড পলিমাইড ও সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে ব্যবহূত বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন ফ্লুরাইড গ্যাস (ইচিং গ্যাস) ও রেসিস্ট দক্ষিণ কোরিয়ায় রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে জাপান।
বিশ্ববাজারে প্রযুক্তিপণ্য প্রস্তুতে ফ্লুরিনেটেড পলিমাইড ও রেসিস্টের ৯০ শতাংশ এবং ইচিং গ্যাসের প্রায় ৭০ শতাংশই উৎপাদন করে জাপান।
এ পরিস্থিতিতে স্যামসাং প্রডাক্টশন টাইম লাইন সমন্বয় করতে বাধ্য হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্যামসাং ও এসকে হাইনিক্স কাঁচামাল সরবরাহের ক্ষেত্রে জাপানি সুমিতোমো কেমিক্যাল কোম্পানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।