আইন লঙ্ঘন এবং ব্যবহারকারীদের ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ উঠেছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস অনেকগুলো রাজ্যের প্রতিনিধিদের একটি জোটের পক্ষ থেকে শুক্রবার এ ঘোষণা দেন।
জেমস বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মও কিন্তু আইন মানতে এবং গ্রাহকদের সম্মান দিতে বাধ্য।’
এর জবাবে ফেসবুকের যুক্তি দেখিয়ে বলে, জনগণের কাছে অনলাইন সেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেকগুলো অপশন রয়েছে।
ফেসবুকের রাজ্য এবং স্থানীয় নীতিমালা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইল ক্যাসেলবেরি বলেছেন, ‘আমরা বুঝি যে যদি আমরা নতুন কিছু উদ্ভাবন বন্ধ করে দেই তবে লোকজন সহজেই আমাদের প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যাবে। আমরা শুধু যুক্তরাষ্ট্র না, পুরো বিশ্বে যে পরিমাণ প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হই তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কথাটি বলছি।’
ডিসট্রিক্ট অব কলাম্বিয়াসহ কলোরাডো, ফ্লোরিডা, আইওয়া, নেব্রাস্কা, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইয়ো এবং টেনেসির স্ট্রেট অফিসিয়ালরা এই রাষ্ট্রীয় তদন্তকাজের অংশ।
‘তদন্তের জন্য আমরা আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকা প্রত্যেকটি হাতিয়ার কাজে লাগাবো। আমরা বের করতে চেষ্টা করব যে, ফেসবুকের কর্মকাণ্ড ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঝুঁকিতে ফেলেছে কিনা, ব্যবহারকারীর অনলাইন মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাছাই করার সুযোগ কমিয়ে দিয়েছে কিনা বা বিজ্ঞাপনের মূল্য বাড়িয়েছে কিনা,’ বলেন লেটিশিয়া জেমস।
ইতোমধ্যে ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের আরেকটি তদন্ত চালাচ্ছে মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন। এছাড়াও জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ দেশের প্রধান প্রধান প্রযুক্তি কোম্পানির বিরুদ্ধে ‘প্রতিযোগিতা নির্মূলচেষ্টা’র অভিযোগের বড়সড় একটি তদন্ত পরিচালনা করছে।