ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউবের মাধ্যমে অনেকেই তারকাখ্যাতি অর্জন করেছেন। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই শিশুরাও। যুক্তরাষ্ট্রের রায়ান গুয়ান এ রকমই এক শিশু। সে রায়ান কাজি নামে বেশি পরিচিত। চলতি বছরের সর্বাধিক উপার্জনকারী ইউটিউবারের তালিকায় রায়ান কাজি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ইউটিউবে তার জনপ্রিয় ভিডিওগুলোয় দেখা যায়, সে তার উপহারের বাক্স খুলে বিভিন্ন খেলনা বের করে। সে খেলনাগুলো পর্যালোচনা করে রিভিউ দেয়। এভাবেই ঘণ্টায় অন্তত দুই হাজারের বেশি ডলার উপার্জন করছে এ শিশু।
২০১৯ সালে নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আট বছর বয়সী রায়ান কাজি উপার্জন করেছে ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা চলতি বছর প্লাটফর্মটি থেকে সর্বাধিক উপার্জনকারীর আসনে বসিয়েছে।
ফোর্বসের তথ্যমতে, শুধু চলতি বছরেই নয়; গত বছরও ইউটিউব থেকে সর্বাধিক উপার্জনকারী হিসেবে রায়ান কাজির নাম শীর্ষে ছিল। ২০১৮ সালে নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে রায়ান কাজির মোট উপার্জন ছিল ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এ শিশু টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ইউটিউবের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতার তকমা দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
রায়ান কাজির ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’। ২০১৫ সালে যখন রায়ানের বয়স তিন বছর, তখন তার মা-বাবা চ্যানেলটি চালু করেন। এখন রায়ানস ওয়ার্ল্ড চ্যানেলটির সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২ কোটি ২৯ লাখ ছাড়িয়েছে। রায়ান কাজির ইউটিউব চ্যানেলের পরিচিতিতে লেখা আছে ‘রায়ানস টয়রিভিউ’। অর্থাৎ চ্যানেলটিতে বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন নতুন খেলনার বাক্স খুলে সেগুলো পর্যালোচনা করে রিভিউ দেয়া হয়। চ্যানেলটির ভিডিওতে নতুন খেলনার সঙ্গে রায়ানের খেলার ভিডিও আপ করা হয়।
ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রায়ান কাজির চ্যানেলে আপ করা বেশির ভাগ ভিডিওর ভিউ শতকোটি (১ বিলয়ন) বারের বেশি। চ্যানেলটি চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০০ কোটি বারের বেশি ভিউ হয়েছে।
সম্প্রতি রায়ান কাজির চ্যানেল নিয়ে ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশনে (এফটিসি) একটি অভিযোগ করে ‘ট্রুথ ইন অ্যাডভারটাইজিং’ নামের অ্যাডভোকেসি সংগঠন। এরপর রায়ানের ইউটিউব চ্যানেলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।