বিটকয়েনসহ সব ধরনের ভার্চুয়াল কারেন্সিতে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার দুই বছর আগের ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলো। এ শিল্প সমিতির সদস্যরা পরস্পরের মধ্যে ভার্চুয়াল কারেন্সিতে লেনদেন করে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড কিছুটা ব্যাহত হয়। অবশেষে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ভার্চুয়াল কারেন্সির ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ভার্চুয়াল কারেন্সির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিটকয়েন। মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিটকয়েনের দাম গত বছরের অক্টোবরে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলারে উঠে যায়। এরপর অনেকটা পড়ে গিয়েছিল। তবে চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক পরিমাণ বেড়েছে। বিটকয়েনের সঙ্গে আনুপাতিকভাবে বাড়ছে অন্যান্য ভার্চুয়াল কারেন্সির দামও। এর মধ্যে ইথেরিয়াম এরই মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে, আর রিপলস এক্সআরপির দাম বেড়েছে ৭৫ শতাংশেরও বেশি।
ভার্চুয়াল মুদ্রার ১১ বছরের ইতিহাসে ব্যাপক উত্থান-পতনের ঘটনা ঘটেছে। বলতে গেলে কাগজের মুদ্রার চেয়ে অনেক বেশি অস্থির এ মুদ্রার বাজার। ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ মাত্র ৩৫ দিনের মধ্যে বিটকয়েনের দাম সাড়ে তিনগুণ বেড়ে ২০ হাজার ডলারে পৌঁছে যায়। এরপর সাত সপ্তাহের মধ্যে ৭০ শতাংশ পড়ে যায়। এ ধরনের অস্থিরতার কারণেই বিটকয়েন এখনো নির্ভরযোগ্য মুদ্রা হয়ে উঠতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা বলতে বুঝায় এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা যা এনক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার করে মুদ্রার সরবরাহ ও বিনিময় মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে। এটির লেনদেন প্রক্রিয়াটিতেও ব্যবহার করা হয় এনক্রিপশন পদ্ধতি। এ মুদ্রা কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়। সুনির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রক না থাকার কারণে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ এ মুদ্রার বৈধতা দেয়নি। তবে অনেক দেশেই প্রচলিত। এর মধ্যে ২০১৭ সালে জাপান প্রচলিত মুদ্রার সঙ্গে বিটকেয়েনের বিনিময় বৈধ করেছে।