করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বের একাধিক দেশে চলছে লকডাউন। দূরত্ব দূর করতে বন্ধু হয়েছে জুম, ওয়েবএক্স, এমএস টিমস, গুগ্ল মিট, গো টু মিটিং-এর মতো ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম। সাম্প্রতিক জনপ্রিয়তায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে জুম।
৩ মাস আগে গড়ে যেখানে প্রতিদিন ১ কোটি গ্রাহক জুম ব্যবহার করতেন, সেখানে এখন তা বেড়ে দৈনিক ২০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রিয়তার সঙ্গেই এসেছে খ্যাতির বিড়ম্বনা।
সাইবার সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান সাইবেল দাবি করেছে, মাত্র ১৫ পয়সা দামে প্রতি অ্যাকাউন্ট জুমের ৫ লাখ গ্রাহকের ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ড, পার্সোনাল মিটিং এর ইউআরএল এবং হোস্ট-কি ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে।
একাধিক সাইবার সুরক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নামমাত্র মূল্যে গ্রাহক তথ্য কেনার পাশাপাশি অসংখ্য গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের বিভিন্ন ফোরামে বিক্রি করেছে জুম কর্তৃপক্ষ।
এদিকে জুম নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে ফেসবুকের সাবেক সাইবার সুরক্ষা প্রধানকে নিয়োগ করলেও তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
স্পেসএক্স, গুগল, নাসার মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই তাদের কর্মীদের মধ্যে ‘জুম’ ব্যবহার ‘বন্ধ’ করার নির্দেশ দিয়েছে।