মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া হবে এমনটা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরীক্ষার সংখ্যা কমানোর ব্যাপারে তারা ভাবছেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
শনিবার দুপুরে এডুকেশন রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিধির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেয়া কোনোভাবে সম্ভব নয়। এইচএসসির এই বছরের সিলেবাস কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ তারা তো তাদের সিলেবাস সম্পন্ন করেছে। এখন কথা হচ্ছে পরীক্ষা নিয়ে। আবারো এত লাখ লাখ পরিবার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলব? তাহলে সেই পরীক্ষাটি আমরা কম সময়ে নিতে পারি কি না, কমসংখ্যক পরীক্ষা নিতে পারি কি না এ ধরনের সব ভাবনাই ভাবছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার পরিপূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের নেয়া ছিল এবং আছে। আমি বারবার এই বলেছি যখনই অনুকূল পরিস্থিতি হবে ১৫ দিন আগে তাদের প্রস্তুতির সময় দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে অর্থাৎ তাদের নোটিশ দিতে হবে।’
‘করোনাকালে শিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণে করণীয়’’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল সেমিনারে সভাপতিত্ব সংগঠনের সভাপতি মুসতাক আহমদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন এবং ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে আমরা কোটি কোটি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল-কলেজ খোলা হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে নিতে আমরা কিছু পরিকল্পনা তৈরি করেছি।’
দেশে দূরশিক্ষণে অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহারে পাঠদান করার সুযোগটি করোনাকালের কারণেই এত দ্রুত সম্ভব হয়েছে বলে বলেন তিনি। ডা. দীপু মনি বলেন, ‘যেকোনো সংকট সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। করোনাও আমাদের কিছু দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। অনলাইনে শিক্ষা ব্যবস্থা এর একটি অন্যতম দ্বার। হয়তো এই অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থায় যেতে আমাদের আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় লেগে যেত, কিন্তু করোনা এই সুযোগটা এখনই করে দিয়েছে।’