গত আগস্ট মাসে ইনফিনিক্স নোট সেভেন লঞ্চ করা হয়। বাংলাদেশে এটি লঞ্চ করা হয় আগস্ট মাসের ৩০ তারিখে৷
যাদের বাজেট ১৫ থেকে ১৬ হাজারের ভিতরে, বলাই বাহুল্য তাদের জন্য একদম পারফেক্ট ফোন ইনফিনিক্স নোট ৭।
মিড রেঞ্জের এই ফোনটি বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারবে কিনা সেটা নিয়েই এই আর্টিকেল!
তাহলে প্রথমে আনবক্সিং দিয়ে শুরু করা যাক!
আনবক্সিং করলেই প্রথমে আপনারা পেয়ে যাবেন কাঙ্খিত স্মার্টফোনটি। সাথে রয়েছে একটি ম্যানুয়াল গাইড, স্ক্রীন প্রটেক্টর, ব্যাক পার্ট এছাড়া রয়েছে ১৮ ওয়াটের একটি চার্জার এবং তার সাথে রয়েছে একটি কেবল।
ইনফিনিক্স এর অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় এবারের স্মার্টফোনটি যথেষ্ট সুন্দর ডিজাইনের৷
বলাই বাহুল্য এর উত্তরসূরী এবং পূর্বসূরী স্মার্টফোনের তুলনায় এটির ডিজাইন বেশ সুন্দর৷ ফোনটির ওজন বেশি নয়, পেছনে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে যদিওবা দেখে মনে হবে গ্লাস বডি।
ফোনের ডান পাশে রয়েছে ভোলিয়াম আপ ডাউন বাটন, এবং তার সাথে রয়েছে একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার সমৃদ্ধ পাওয়ার বাটন৷ যেটা আমরা পোকো x2 এবং রিয়েল মি এর বেশকিছু ফোনে ব্যবহার হতে দেখেছি৷ ফোনটির বাম পাশে রয়েছে একটি স্লট৷ যাতে আপনারা দুটি সিম কার্ড এবং একটি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন৷
উপরের দিকে কিছু নেই৷ তবে নিচের দিকে রয়েছে একটি হেডফোন জ্যাক, প্রাইমারি স্পিকার এবং ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট।
এবার আসা যাক ডিসপ্লের ব্যাপারে!
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৯৫ ইঞ্চির একটি বড় ডিসপ্লে। এটি আইপিএস এলসিডি দ্বারা নির্মিত । ২৫৮ পিপিআই ডেনসিটি সমৃদ্ধ, কর্নিং গরিলা গ্লাস যুক্ত এবং এর রেজুলেশন ৭২০ × ১৬৪০ পিক্সেল।
যেহেতু ডিসপ্লে অনেক বড় সুতরাং কনটেন্ট প্রেমীরা এটা বেশ উপভোগ করবে৷ তবে আমার মনে হয় ফোনের রেসুলেশন এ একটু ঘাটতি রয়েছে। সানলাইট ভিজিবিলিটি মোটামুটি ছিল৷ একটি বাজেট ফোনে যতটুকু থাকার কথা ততটুকুই ছিল৷
এবার কথা বলা যাক ফোনটির ক্যামেরার ব্যাপারে!
ফোনের ক্যামেরাতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। এবং ক্যামেরা সেটআপ টি সার্কেল শেপের৷ যেটা ফোনটির সাথে খুবই মানানসই।
প্রাইমারি ক্যামেরাটি ৪৮ মেগাপিক্সেলের । এবং তার সাথে রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল এর আরো তিনটি ক্যামেরা৷ ক্যামেরাটিতে খুব সুন্দর ছবি আসছিল। তবে ডেলাইট কমার সাথে সাথে ছবিতে এক ধরনের অস্পষ্টতা লক্ষ করা যাচ্ছিল।
তবে এ ধরনের বাজেট ফোনের ক্ষেত্রে সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ এখনকার বাজেট ফোনগুলোতে এর চেয়ে বেশি পারফর্মেন্স আশা করাটা অযৌক্তিক। তবে আপনি যদি সুপার নাইট মোড ব্যবহার করেন তাহলে স্বল্প আলোতেও বেশ ভালো ছবি তুলতে পারবেন।
ফোনের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ভিডিও কোয়ালিটি এভারেজ লেভেলের ছিল৷
ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরায় থাকছে সিক্সটিন মেগা পিক্সাল এর ক্যামেরা৷ প্রোপার ডে লাইটে এটা বেশ চমকপ্রদ ছবি তুলতে পারেন৷ তবে মাঝের মধ্যে ফেইস মুভ করিয়ে দিচ্ছিল, ব্যাপারটা অবশ্যই খুব বিরক্তিকর৷ তবে সেটা স্বল্প আলোতেই বেশি হচ্ছিল৷
বাংলাদেশের যে স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে সেটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি রোম৷ এই ফোনের প্রসেসর হিসেবে দেওয়া হয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি ৭০। এটা যথেষ্ট ভাল মানের একটি প্রসেসর৷ বিশেষ করে গেমারদের ক্ষেত্রে। আমরা সকলে জানি মিডিয়াটেকের এই ধরনের প্রসেসরগুলো গেমারদের জন্যই মূলত তৈরি করা৷
বাংলাদেশী মূল্যে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৯৯০ টাকা