ডাকটিকিটে বৈচিত্র্য আনতে যথাযথ উদ্যেোগ নেওয়ার জন্য ডাক অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ডাক ভবনে ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘ডাকটিকিটের মাধ্যমে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রত্নতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হবে। ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত মানুষের নাম অগোচরে থেকে যায়। ডাকটিকিটে বিখ্যাতদের ছোট একটি কর্ম তুলে ধরতে পারলে নতুন প্রজন্ম তার ইতিহাস খুঁজে বের করবে।’
তিনি বলেন, ‘কিউআর কোডের মাধ্যমে ডাকটিকিটের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা যাতে ডিজিটাল ডিভাইসে পড়া যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এতে ডাকটিকিটের গুরুত্ব বহু গুণ বাড়বে। অদ্যাবধি প্রকাশিত ডাকটিকিট ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে আর্কাইভে সংরক্ষিত তথ্যের চেয়ে বেশি তথ্য উঠে আসবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শতজন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর প্রকাশিত শত ছবিসম্বলিত অ্যালবামের মাধ্যমে ইতিহাসকে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এক মহাকাব্য। বঙ্গবন্ধুকে যত বেশি অধ্যয়ন করা যাবে, তত বেশি ধারণা হবে তার বিশালত্ব সম্পর্কে। মাও সেতুং, লেনিন, স্টালিন, চে গুয়েভারা কিংবা হো চিমিনসহ অনেক বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিককে অধ্যয়ন করেছি। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বঙ্গবন্ধু সবার চেয়ে উজ্জ্বল। তার সমকক্ষ অন্য কাউকে ভাবতে পারি না।’
শিশু-কিশোরদের হাতে রং-তুলির পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে যন্ত্রের প্রাধান্য থাকবে। আমাদের শিশুদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী মানবসম্পদ হিসেবে তৈরি করতে হবে।’
ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল আলম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন এবং ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আনোয়ারুল কাদির বক্তৃতা করেন।
পরে মন্ত্রী একটি স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।