পর্যটন শিল্প ময়মনসিংহের ই কমার্সে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে । ময়মনসিংহের আনাচে কানাচে এমন অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে,এবং গড়ে উঠেছে সুন্দর সুন্দর রিসোর্ট যা হতে পারে পর্যটন এরিয়া। আজ আমি এমনই এক জায়গার কথা বলবো। যেখানে আমি নিজেও গিয়েছিলাম এবং এর সৌন্দর্যে আমি সত্যি অভিভূত। ময়মনসিংহ সদর থেকে খুব কাছাকাছি হওয়ায় সময়ও কম লাগে তাই যে কেও চাইলে অবসর সময় কাটিয়ে আসতে পারেন অনায়াসে।
আজ আমি বলবো ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুএ নদীর তীরে গড়ে উঠা ইস্টার্ন হেরিটেইজ রিসোর্ট এর কথা।
ময়মনসিংহ সদর থেকে মাএ ৮/৯ কিলোমিটার দূরে খাকডোহরে নদীর ওপারে এই রিসোর্টটি অবস্হিত। ময়মনসিংহের অনেকগুলো রিসোর্টের মাঝে এটি একটি অন্যতম রিসোর্ট কেননা এই রিসোর্টটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপূর যা আরো দৃষ্টি নন্দন হয়েছে তাদের সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায়। বিশেষ করে রিসোর্ট এর ভিতরের কৃত্রিম স্হাপনা গুলি চোখে পড়ার মতো। রিসোর্ট এর ভিতরে ভ্রমণ করিদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্হা। রিসোর্টটিতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন একটি সুইমিং পুল। যা সবসময় সকল ভ্রমণকারীর আকর্ষণের জিনিস। তাছাড়া পার্টি জোন, বারবিকিউ পার্টি প্লট, মিউজিক জোন সহ রয়েছে বিভিন্ন ইনডোর গেইমস্ খেলার ব্যবস্হা।
দর্শনার্থীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে রিসোর্টের ভিতরেই রয়েছে মিটিং রুম, ট্রেনিং প্লেস,। বাচ্চাদের খেলার জন্য উন্মুক্ত জায়গা তো রয়েছেই। তাছাড়া রয়েছে ইনডোর গেইমস্এর সুবিধা।
রিসোর্টিতে নিজেস্য ক্যাটারিং ব্যবস্হা থাকায় খাবার নিয়ে কোন টেনশন করতে হয় না। চাইলে ওদেরকে বলে বাচ্চাদের জন্য ও আলাদা খাবার তৈরি করিয়ে নেয়া যায়।
রিসোর্টটি মেইন শহর থেকে একটু দূরে এবং নদীর ওপারে হওয়ায় অনেকে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করেন। কিন্তু আমি যেহেতু নিজে গিয়েছিলাম এবং তাদের সাথে কথা বলে জেনেছি ওদের নিজেস্য সিক্যুরিটির লোক রয়েছে যারা ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দিয়ে থাকে মেইন গেইট থেকেই এবং তারা তাদের দর্শনার্থীদের সর্বোচ্চ সূরক্ষা দিয়ে থাকেন।
নদীর ওপারে হওয়ায় অনেকে নদী পাড়াপাড় নিয়েও চিন্তা করেন। কিন্তু নদী পাড় হওয়ার জন্য নৌকা সেখানে রেডিই থাকে। তাছাড়া রিসোর্ট পর্যন্ত যাবার জন্য ওদের নিজেস্ব কয়েকটা অটো রিকশাও রয়েছে যা বিনামূল্যে আপনায় রিসোর্টে পৌঁছে দিবে।
তাদের আরো কিছু সুবিধার মধ্যে রয়েছে
১. অন লাইন বুকিং সিস্টেম
২. ফ্রী ওয়াই ফাই
৩. পার্কিং সুবিধা
৪. কমপ্লিমেন্টারি সকালের নাস্তা
৫. ২৪ ঘন্টা রুম সার্ভিস
৬.কিসড্ জোন
৭. সুইমিং পুল
৮.আলাদা পার্টি জোন
৯. আকর্ষণীয় নামের কটেজ যা দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ করে।
কিভাবে যাবেন: ময়মনসিংহ বাস স্ট্যান্ড থেকে যদি চিন্তা করি যে কেও সিএনজি বা অটোরিকশা করে বা মধুপুর যাবার লোকাল বাসে চড়েও যেতে পারবেন খাকডোহরে। সেখানে একমি অফিসের সামনে নেমে যাবেন। একমি অফিসের পরের গলি দিয়ে নদীর পড়ে নেমে যাওয়া রাস্তা দিয়ে এগুলেই পেয়ে যাবেন নৌকা। নদী ও নৌকার মজা নিতে নিতেই পৌঁছে যাবেন ওপারে। পাড়েই অপেক্ষারত অটো নিয়ে যাবে আপনার কাংক্ষিত জায়গায়।
লেখক,
ফারজিনা আক্তার রুমা