ফারিয়া ওমর ঝুমুর, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, টেকজুম ডটটিভি// মুন্সিগঞ্জ কে আলুর জেলা হয়।মুন্সিগঞ্জের প্রধান অর্থকারী ফসল হচ্ছে আলু।দেশের তিন ভাগের এক ভাগ আলু উৎপাদন হয় মুন্সিগঞ্জে।
প্রতিবছর নভেম্বরের শেষে কিংবা ডিসেম্বরের শুরুতে আলুর বীজ বোপন করা হয়।ফেব্রুয়ারির শেষে কিংবা মার্চের শুরুতে সেখান থেকে আলু উত্তোলন করা হয়।মুন্সিগঞ্জ জেলায় এক-তৃতীয়াংশ জমিতে আলু চাষ করা হয়।পুরো জেলার সব গুলো উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ৭৬ হাজার আলু চাষী রয়েছে এখানে।প্রায় ১০ জাতের আলু উৎপাদিত হয় মুন্সিগঞ্জে।
সে পরিপ্রেক্ষিতে খুব সহজেই প্রকাশ পায় যে, মুন্সিগঞ্জে আলুর সম্রাজ্য ঠিক কতটুকু।প্রতিবছর বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মীরা আসেন মাঠ পর্যায়ে আলু উত্তোলন করার জন্য,উত্তোলিত সে আলু হিমাগারে সংরক্ষন করা হয় সারা বছরের জন্য।আবার অনেক আলু বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা কিনেও নিয়ে যায়। ঢাকা,কুষ্টিয়া,ফরিদপুর,খুলনা,বরিশাল সহ বেশ কয়েকটি জেলায় মুন্সিগঞ্জের আলু যায় খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য।
বর্তমান যুগে বাংলাদেশে ই-কমার্সে জেলাভিত্তিক পণ্যের সম্ভাবনা প্রবল।সেক্ষেত্রে মুন্সিগঞ্জের বিখ্যাত আলু ই-কমার্স সম্ভাবনায় কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও পিছিয়ে নেই সে বিখ্যাত আলুর তৈরি চিপস।
আলুকে গোল করে কেটে,ধুয়ে, বিভিন্ন মশলার মিশ্রনে রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয় চিপস। পরবর্তীতে তেলে ভেজে খাওয়া হয় মজাদার আলুর চিপস।
শুকনা আলুর চিপস বছরের পর বছর অনায়েসে সংরক্ষন করা যায় বিধায় ই-কমার্সে এর সম্ভাবনা অনেক বেশি।আলু দ্রুত পচনশীল হলেও, আলুর তৈরি চিপস অনেকদিন সংরক্ষন করা যায়,পাশাপাশি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পাঠানোও বেশ সহজলভ্য।
মুন্সিগঞ্জ থেকে উদ্যোক্তাদের জেলার পণ্য ব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে আলুর চিপস বেশ ভূমিকা রাখছে।
মুন্সিগঞ্জের দুই উদ্যোক্তা মেঘলা পোদ্দার ও সোনিয়া দেওয়ান বলেন,”আলু আমাদের জেলার বিখ্যাত পণ্য।অনেক ইচ্ছে ছিলো জেলা পণ্য নিয়ে কাজ করার।কিন্তু আলু পচনশীল দ্রব্য হওয়ায় এর বিকল্প হিসেবে আলুর চিপস কে বাছাই করে নেই।বর্তমানে জেলা পণ্য হিসেবে বেশ সাড়া পাচ্ছি আলুর চিপস এর”।
সোনিয়া দেওয়ান আরো বলেন,”জেলা পণ্যের ব্রান্ডিং করাটা আমাদের কাছে বেশ গর্বের ব্যাপার।দেশের প্রতিটা জেলা থেকেই জেলা পণ্য উঠে আসছে ই-কমার্সে।মুন্সিগঞ্জ পিছিয়ে থাকবে কেন।মুন্সিগঞ্জকে আলুর দেশ বলা হয়,যেখানে আলু উৎপাদনের সাথে আমাদের এক প্রকার আবেগ মিশে আছে,সেখানে আলুর তৈরি বিভিন্ন খাবার খুব সহজেই আমাদের জেলা ব্রান্ডিং করতে সাহায্য করবে”।
আলু দ্রুত পচনশীল দ্রব্য হলেও,এর সম্ভাবনা প্রবল। আলু কে ই-কমার্স সেক্টরে নিয়ে আসার জন্য আলু ব্যবসায়ীদের এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো এবং বুঝানো প্রয়োজন।তবেই ই-কমার্সের মাধ্যমে দেশ ছাড়িয়েও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে মুন্সিগঞ্জের আলু ব্যপক ভূমিকা রাখবে।