সুপারবাইক এবং স্পোর্টস বাইকগুলো সাধারণত হাজার সিসি বা তারও বেশি হয়। এই ধরনের বাইক অনেক বাইক প্রেমীরই স্বপ্ন হয়। বাংলাদেশে ১৬৫ সিসির বেশি বাইক ব্যবহার করার সুযোগ নেই। কিন্তু প্রতিবেশি দেশ ভারতে এই ধরনের স্পোর্টস ও সুপারবাইকগুলো চালাচ্ছে তরুণরা। তবে যেহেতু এগুলোর দাম এখনও আকাশছোঁয়া, তাই মাত্র কয়েক শতাংশ মানুষই এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। দেখে নেওয়া যাক, ভারতের এমন ১০টি সুপারফাস্ট বাইক।
কাওয়াসাকি নিনজা এইচ২
কাওয়াসাকি নিনজা এইচ২ বাইকটিতে রয়েছে ৯৯৮ সিসির ইঞ্জিন। জাপানি বাইক জায়ান্ট কাওয়াসাকি বাইককে আলাদা উচ্চতায় নিয়ে এসেছে। এর টপ স্পিড বলা হচ্ছে ৪০০ কিমি প্রতি ঘন্টায়। আলাদা আলাদা দু’টি রঙে এই বাইক পাওয়া যায়। প্রতি লিটার জ্বালানিতে এর মাইলেজ রয়েছে ৯-১৫ কিমি।
বিএমডব্লিউ এস-১০০- আরআর
বিএমডব্লিউ-এর সুপারবাইকটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং দেখতেও কিলার লুকিং। বিশ্বজুড়ে এই বাইকটি প্রশংসা কুড়িয়েছে। গাড়িটির ইঞ্জিন রয়েছে ৯৯৯ সিসির। এর টপ স্পিড বলা হচ্ছে ৩০০ কিমি প্রতি ঘন্টা। আলাদা আলাদা দুইটি রঙে এই বাইক পাওয়া যায়।
ডুকাতি পেনিগেল ভার্সন ৪
ডুকাতি পেনিগেল ভার্সন ৪ একটি স্পোর্টস বাইক। বাইক প্রেমীরা অনেকেই এর লুকে মজেছেন। বাইকটির ইঞ্জিন রয়েছে ১০০৩ সিসির। ২০১৮ সালে এই বাইকটি প্রথম আন্তর্জাতিক বাজারে আসে। গাড়িটির সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ২৮৯ কিমি। প্রতি লিটার জ্বালানিতে এর মাইলেজ রয়েছে ৮-১৫ কিমি। চরটি আলাদা আলাদা রঙে এই বাইকটি পাওয়া যায়।
সুজুকি হায়াবুসা
‘ধুম’ সিনেমা মনে আছে তো? সুজুকি হায়াবুসা সেখানে দেখানো এমন একটি বাইক, যা সুপারবাইক প্রেমীদের মধ্যে তখন রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এটিতে তিনটি আলাদা আলাদা রাইডিং মোড রয়েছে। এর ইঞ্জিন রয়েছে ১৩৪০ সিসির।
এমভি আগুস্টা এফ ৪ আরআর
এই বাইকের সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ২৮৯ কিমি। এর ইঞ্জিন ৯৯৮ সিসির। সুপারবাইক হলেও এর ওজন অনেক কম। গাড়িটির ওজন ১৯০ কেজি। আলাদা আলাদা দুইটি রঙে এই বাইক পাওয়া যায়।
অ্যাপ্রিলা আরএসভি ৪ আরএফ
বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ৩০০ কিমি। ওজন ১৭৯ কিগ্রা। এটি ৯৯৯ সিসির। এর জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা ১৮.৫ লিটার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটার সুবিধা হল, এটিতে পাওয়ারফুল একটি ভি৪ ইঞ্জিন রয়েছে। তবে শহরের মধ্যে এই বাইক চালানো কিছুটা কষ্টকর হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুজুকি জিএসএক্স-আর ১০০০
বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ৩০০ কিমি। স্পোর্টস বাইকগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এতে রয়েছে ৪টি সিলিন্ডার। এটি একটি ১০০০ সিসির গাড়ি। এছাড়া এতে রয়েছে একাধিক অত্যধুনিক ফিচার।
হোন্ডা সিবিআর ১০০০ আর ফায়ারব্লেড
এই বাইক একাধিকবার বলিউড সিনেমায় দেখা গিয়েছে। হোন্ডার এই সুপার বাইকে রয়েছে ৯৯৯ সিসির ইঞ্জিন। এটির সর্বোচ্চ স্পিড রয়েছে ২৮০-র থেকে একটু বেশি। মাল্টিকালারের জন্য বাইকটির লুক দারুণ আকর্ষণীয় করে তোলে। যা সবারই নজর কেড়েছে। মনে করা হচ্ছে, চলতি বছরের আগস্টে এই বাইকটি লঞ্চ হতে পারে।
ডুকাতি ডায়াভেল
এই বাইকটি শুধু ভারতে না, সারা বিশ্বেই ব্যাপক জনপ্রিয়। এতে রয়েছে ১১৯৮ সিসির ইঞ্জিন। রাইডারের সুবিধার জন্য এটিতে রয়েছে তিনটি মুড। বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ২৭০ কিমি। তবে ব্যবহারকারীরা বলছেন, এই বাইকটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে রাইডিং-এর জন্য আরামদায়ক।
ইয়ামাহা ওয়াইজেএফ-আর১
এটিও একটি স্পোর্টস বাইক। এটিতে রয়েছে আলট্রা মর্ডান টেক সাপোর্ট। বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ২৮৫ কিমি। গাড়িটির ইঞ্জিন ৯৯৮ সিসির। বাইকটির অপর একটি নাম রয়েছে ইয়ামাহা আর১। বাইকটিতে একাধিক সেফটি ফিচার ইন্সটল করা রয়েছে।