পাওনা পরিশোধে ইভ্যালিকে সময় দিতে চান এর গ্রাহক ও মার্চেন্টরা। রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ সময় দেয়ার সম্মতির কথা জানান তারা।
কয়েকটি অভিযোগে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে কারাগারে রাখার বিষয়টি দুঃখজনক উল্লেখ করে তারা বলেন, ব্যবসায়ের পরিধি বড় হলে কিছু অভিযোগ বা সমন্বয়হীনতা থাকতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ই-ক্যাব, মার্চেন্ট, ভোক্তাসহ সবার প্রতিনিধি ও ইভ্যালির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে এ সমন্বয়হীনতা বা সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালির গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন এবং কো-সমন্বয়ক সাকিব হাসান লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন। তারা বলছেন, ইভ্যালির উদ্যোক্তারা কারাগারে থাকায় পুরাতন বকেয়া টাকা এবং ওয়ার হাউসে ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত করা পণ্যগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। ভোক্তারা তাদের অর্ডার করা প্রয়োজনীয় পণ্যপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেশি সংখ্যক উদ্যোক্তা নানাভাবে ঋণ এবং সাপ্লায়ার থেকে ক্রেডিট নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে।
ইভ্যালি যদি আগের ন্যায় ব্যবসা করতে না পারে তাহলে উদ্যোক্তারা সর্বশান্ত হবে এবং ঋণ সাপ্লায়াররা ক্রেডিটের জন্য মামলার সম্মুখীন হবে।তারা ইভ্যালি সিইও ও চেয়ারম্যানকে মুক্তি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে পাওনা পরিশোধের সময় দেয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৪ জুন বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ই-ক্যাবের দূরদর্শী যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে এসওপি সার্ভিস চালু করা হয়। এটি ই-কমার্স সেক্টরের জন্য মাইলফলক। এসওপি সার্ভিসের জন্য বর্তমানে কোনো গ্রাহক প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই। পুরাতন ডেলিভারি না হওয়া পণ্যের জন্য ইভ্যালি সিইও সময় চেয়েছেন। গ্রাহকরা তাকে সময় দিয়ে সহযাগিতা করতে চায়।
বক্তব্যে তারা আরও বলেন, এ সংকট মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে তারা প্রায় ৭৫ লাখ পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পথে বসবেন। তাদের বিশ্বাস, এ সংকট সংশ্লিষ্ট সবাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করে সম্ভাবনাময় একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসায় করার সুযোগ দিয়ে লাখ লাখ গ্রাহকের স্বপ্নপূরণ এবং হাজার হাজার উদ্যোক্তার ব্যবসায় চালিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে।