ল্যাপটপ চার্জে রেখে কাজ করা ভালো নাকি চার্জ খুলে—বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। দৈনন্দিন জীবনে বিষয়টি এক প্রকার মিথে পরিণত হয়েছে। কেউ বলেন, কাজ করার সময় ল্যাপটপের চার্জার খুলে রাখতে আবার কেউ চার্জে লাগিয়ে রাখার কথা বলেন। অনেকে আবার বলেন কাজ করার মধ্যে ব্যাটারি ফুরোনোর আগে চার্জ করে নিতে। বিশেষজ্ঞদের মতামত, চার্জার ল্যাপটপে লাগিয়ে ব্যবহার করলে ব্যাটারির আয়ু কমতে থাকে। তাহলে উপায় কী?
ল্যাপটপের ব্যাটারি চার্জিং নিয়ে প্রচুর মিথ আছে, কিন্তু মানুষ জানেই না কোনটা সঠিক। মূল সমস্যা হলো, ব্যবহারকারীদের নৈমিত্তিক ব্যবহার অনুশীলনের। বিষয়টি অনেকটা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি চার্জিংয়ের মতো। কখন ল্যাপটপ চার্জ করা উচিত বা সম্পূর্ণ চার্জ করার পর আবার অতিরিক্ত চার্জে রাখবেন কিনা আবার আপনি কখন ল্যাপটপের চার্জের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবেন সে সম্পর্কে ধারণা থাকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
সম্পূর্ণ চার্জের পর ব্যাটারি চার্জিং সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করলে যেমন মোবাইলের ক্ষতি হয়, ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই। সেইসের একটি আর্টিকেলে বলা হয়েছে, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিযুক্ত ল্যাপটপে অতিরিক্ত চার্জিং কোনো সমস্যার বিষয় নয়। সমস্যা তখনই শুরু হয়, যখন ডিভাইসটির চার্জিং সিস্টেমে ত্রুটি ধরা পড়ে। ব্যাটারি গরম হলেও সমস্যা দেখা দেয়, ফলে ব্যবহার শেষ হলে ল্যাপটপকে শীতল পরিবেশে রাখা ভালো।
আমরা অনেকেই মনে করি, নতুন ল্যাপটপ কেনার পরই মোড়ক থেকে বের করে সম্পূর্ণ চার্জ করে নিতে হয়। হ্যালোটেক বলছে, ২০০০ সালের শেষ দিকে কিছু ডিভাইসে নিকেলের ব্যাটারি ব্যবহার করা হতো। আপনি এখনো যদি ওই ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে ব্যাটারি ব্যবহারের মিথ আপনার জন্য প্রযোজ্য। তবে এ মিথের অবসান ঘটিয়েছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। আপনি যেন কেনার পরই ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারেন, ব্যাটারিগুলো সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য সঠিক ক্যালিব্রেশন নিশ্চিতের জন্য নতুন ল্যাপটপ প্রথমবার ব্যবহারের আগে চার্জ করে নেয়া ভালো।
নতুন ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে নির্মাতারা বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে যে নিয়ম বাতলে দেয়, তা উপযুক্ত। যদিও ব্যাটারির লাইফ সম্পর্কে তাদের দাবি সবসময় সঠিক হয় না। হ্যালোটেক বলছে, অনেকেই জানেনই না তাদের ল্যাপটপের ব্যাটারির জীবন সম্পর্কে যে দাবি করা হয়, তা কিসের ওপর ভিত্তি করে। মূলত যে পরিস্থিতিতে উৎপাদন হয়; তেমনই মানানসই পরিস্থিতিতে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ব্যাটারি দীর্ঘদিন ব্যবহার উপযোগী হয়ে থাকে। পরিবেশের ওপর ভিত্তি করেও ব্যাটারির লাইফটাইম নির্ধারণ হয়ে থাকে। ধরুন, আপনি সবসময় শীতল পরিবেশে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন, এ সময় আপনার ল্যাপটপ যে পারফরম্যান্স দেবে; গরম পরিস্থিতিতে গেলে আপনি তা পাবেন না।