বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ এবং ‘বিল্ড ভুটান’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া বিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার নেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে ভুটান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে বুধবার (৩ নভেম্বর) তার সচিবালয়ে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসি সৌজন্য সাক্ষাতকালে ভুটান সরকারের এই আগ্রহ জানান।
সাক্ষাতকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করার বিষয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের ধারাবাহিকতায় ব্যান্ডউইডথ নেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আলোকপাত করা হয়। গত মার্চে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে এ প্রস্তাব করেন।
বৈঠকে ব্যান্ডউডথের সুবিধাজনক রেট নিয়েও আলোকপাত হয়। ভুটান-ভারত-বাংলাদেশ যেন সুবিধাজনক ট্রান্সমিশন রেট পায় সে বিষয়টি নিয়েও আলোকপাত হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশটির সহযোগিতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের ভূ-প্রকৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং জীবন ধারা প্রায় এক ও অভিন্ন।
তিনি দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে পৃথিবীর যে কয়টি দেশ এগিয়ে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দিতে গৃহীত যুগান্তকারী কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশে ১৭ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের কারখানা থেকে শতকরা ৭০ ভাগ মোবাইল ফোনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। আমরা ৫জি মোবাইল ফোন উৎপাদন ও রপ্তানি করছি।
রাষ্ট্রদূত ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে অনন্য এক উচ্চতায় উপনীত করতে তার প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি বিশেষ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভুটানের পরিক্ষিত বন্ধুই নয়, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার।
মন্ত্রী বিন্ড ভুটান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরণের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সাবাব বিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।