রোলস-রয়েস নামটি শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে অভিজাত কোনো গাড়ির ছবি। বহু বছরের পুরোনো এই প্রতিষ্ঠান অনেক ইঞ্জিন তৈরি করলেও মূলত গাড়ির জন্যই দুনিয়াজোড়া খ্যাতি। অথচ সেই রোলস-রয়েসই কিনা চমক দেখালো প্লেনের ইঞ্জিন তৈরি করে!
রোলস রয়েস আগেও প্লেনের জন্য ইঞ্জিন তৈরি করেছে, তবে এবারের ব্যাপারটা ভিন্ন। তারা এতো দ্রুতগতি সম্পন্ন ইঞ্জিন তৈরি করেছে যা গড়েছে বিশ্ব রেকর্ড। শুধু তাই-ই নয়, রোলস রয়েসের ভাষ্যমতে- তাদের এই প্লেন নৌ, আকাশ এবং ভূমি এই তিন বিভাগে যত পরিবহন আছে তাদের ভেতর সবচেয়ে দ্রুতগতির বাহন।
স্প্রিট অব ইনোভেশন নামের এই প্লেন সম্প্রতি ৫৫৫.৯ কিলোমিটার/ঘণ্টা বা ঘণ্টায় ৩৩০ মাইল গতিতে ছুটেছে! যা আগের রেকর্ডের তুলনায় প্রায় তিনগুণ। ৩ কিলোমিটার দূরত্বের গতির হিসাবে আগের রেকর্ড ছিল ঘণ্টায় ২১৩.০৪ কিলোমিটার। তাছাড়া ১৫ কিলোমিটারের দূরত্বেও স্প্রিট অব ইনোভেশন রেকর্ড গড়েছে, এই দূরত্বে এটা তুলেছে ঘণ্টায় ৫৩২.১ কিলোমিটার বা ঘণ্টায় ৩৩০ মাইল গতি। এছাড়াও ৩০০০ মিটার দূরত্ব অতিক্রমেও রেকর্ড গড়েছে ইনোভেশন অব স্প্রিট, মাত্র ৬০ সেকেন্ডে এই দূরত্ব অতিক্রম করেছে যার আগের রেকর্ড ছিল ২০২ সেকেন্ড।
রোলস রয়েস তাদের এসব তথ্য ফেডারেশন অ্যারোনেটিক ইন্টারন্যাশনালে দাখিল করেছে, তাদের আশা খুব শিগগির এর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিলবে।
রোলস রয়েসের ডিরেক্টর অব ফ্লাইট অপারেশন এবং ইনোভেশন অব স্প্রিটের টেস্ট পাইলট ফিল ও’ ডেল বলেন, ‘ইনোভেশন অব স্প্রিটের ফ্লাইট ছিল অবিশ্বাস্য গতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ। এবং আমরা মনে করি আমরা বিশ্বের সকল ইলেকট্রিক পরিবহনের গতির রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হয়েছি। এটা আমার এবং আমার দলের ক্যারিয়ারের জন্য অসাধারণ একটি পাওয়া, যা আমাদের ক্যারিয়ারের চুম্বক অংশ হয়ে থাকবে।’
ইনোভেশন অব স্প্রিট ৪০০ কিলোওয়াটের পাওয়ারট্রেইন ব্যবহার করেছে এবং এ যাবৎ কালে বিমানে ব্যবহৃত সবচেয়ে শক্তিশালি ব্যাটারি এতে যুক্ত করা হয়েছে। এই বিমান তৈরি করতে রোলস রয়েসকে ইলেক্ট্রোফ্লাইট এবং ইয়াসা’র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে হয়েছে।