বিশ্বে চলমান চিপ ও সরবরাহ সংকট এবং যন্ত্রাংশের উচ্চমূল্যের মধ্যেও প্রান্তিক আয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে টেলিকম যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নকিয়া। ফাইভজি পণ্যের চাহিদা থাকায় এটি সম্ভব হয়েছে। খবর রয়টার্স।
স্মার্টফোনের ব্যবসায় অবনতির পর নকিয়া ফাইভজি প্রযুক্তির বিকাশ, গবেষণা ও প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদন খরচ কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি সুইডেনের এরিকসন এবং চীনের হুয়াওয়ের বাজারে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। তবে বৈশ্বিক চিপ সংকট ও কভিড-১৯ মহামারীর কারণে চীনে নতুন করে আরোপিত লকডাউন ও বিধিনিষেধ নকিয়ার সরবরাহ চেইনে চাপ প্রয়োগ করে। সংকটের কারণে নকিয়ার পণ্য উৎপাদনে যেসব যন্ত্রাংশ ব্যবহূত হয়, সেগুলোর মূল্যও বাড়তে থাকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে নকিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পেকা লান্ডমার্ক বলেন, দাম বাড়ার বিষয়টি পরিষ্কার। যন্ত্রাংশ, চিপ বা সেমিকন্ডাক্টর থেকে শুরু করে সবকিছুর মূল্যই বাড়ছে। দাম বাড়ার বিষয়টি গ্রাহক ব্যয়ে যুক্ত করা যায় কিনা, সে বিষয়ে বর্তমানে আমরা কাজ করছি।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ধরনের চুক্তির জন্য লক ইন প্রাইস নীতি অনুসরণ করে। তবে চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি মূল্যেই সম্মতি প্রকাশ করতে হয়। লান্ডমার্ক বলেন, একটি সাধারণ চুক্তি তিন বছরের জন্য হতে পারে। এক্ষেত্রে মোবাইল নেটওয়ার্কের মতো প্রতি বছর আমাদের এক-তৃতীয়াংশ চুক্তি নবায়ন করা হবে। ২০২০ সালে শীর্ষে উঠে আসার পর থেকে লান্ডমার্ক পণ্য উৎপাদন ব্যয় কমাতে মনোনিবেশ করেন। পাশাপাশি ফাইভজি প্রযুক্তি বিস্তারে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যমাত্রায় আগের প্রশাসনের যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল, সেটি পরিবর্তনেরও উদ্যোগ নেন।
ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান নকিয়া যখন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু অংশকে ফাইভজি পণ্যের উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অঞ্চল বলে গণ্য করছে তখন প্রযুক্তিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা ভারতকে ফাইভজি বিস্তারের অন্যতম বড় ক্ষেত্র মনে করছেন। কেননা দেশটিতে এখনো সেভাবে ফাইভজি প্রযুক্তির বিস্তার হয়নি।