তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে শহর-গ্রামের বৈষম্য কমছে। প্রান্তিক জনপদের ৮০ শতাংশ অঞ্চলই এখন ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সেবার আওতায়। এবছর মধ্যেই শতাভাগ ব্রডব্যান্ড নিশ্চিতের লক্ষ্য সরকারের।
এক দশক আগেও জমির পর্চা, নামজারিসহ নানাবিধ কাজ-কর্ম ছিল কাগুজে। ঝামেলার অন্ত ছিল না। জমিতে সার-কীটনাশক ব্যবহার, ন্যায্য দাম জানা ও পাওয়া তথ্য কিংবা সন্তানের জন্য মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম নেই এখন গ্রামে!
শহর-গ্রামের ব্যবধান কমাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলকে দ্রুত ব্রডব্র্যান্ড ইন্টানেট নেটওয়ার্কে যুক্ত করছে সরকার। বদলে যাচ্ছে মানুষের আর্থসামাজিক চিত্র। ইউনিয়ন ডিজিটাল সার্ভিস থেকে সুবিধা পাচ্ছেন প্রান্তিক মানুষ। কর্মসংস্থান হচ্ছে অনেকের।
একজন গ্রাহক বলছেন, “আগে ব্যাঙ্কের টাকা তুলতে আমাদের অনেক সমস্যা হত, এখন দশ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই আমরা টাকা তুলতে পারছি।”
আরেকজন জানান, “জমি খারিজ করার জন্য অনেক দূর দূরান্তে যাওয়া লাগত, টাকা খরচ করা লাগত, যা এখন লাগছে না।”
এতোকিছু সম্ভব হয়েছে ৪ হাজার ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার পৌঁছে যাওয়ায়। জেলায় জেলায় গড়ে উঠছে হাইটেক ও সফট্ওয়্যার পার্ক।
আইএসপি এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, “আমরা খুবই আশাবাদী, এই বছরের মধ্যে দেখা যাবে বেশিরভাগ ইউনিয়ন ফাইবার অপটিক ব্রডব্যান্ডের আওতায় চলে আসবে। তারমানে পরবর্তীতে যদি এই করোনা মহামারি আগামী বছরেও থাকে আমাদের যে ডিজিটাল ডিভাইড ছিলো এডুকেশন সেক্টরে, এই ডিজিটাল ডিভাইডও কিন্তু আমরা কমিয়ে নিতে পারছি।”
উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশীয় তরুণরা নির্মাণ করছে আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি। আসছে বৈদেশিক মুদ্রাও।
বেসিস এর পরিচালক রাশাদ কবির বলেন, “সরকারের সার্ভিস গুলো অটোমেশন হচ্ছে, ডিজিটাল হচ্ছে এটার একটা সুবিধা তো পাওয়াই যাচ্ছে। এতে কিন্তু দেশে যে আইটি প্রতিষ্ঠান গুলো রয়েছে তাদেরও কিন্তু সক্ষমতা বাড়ছে। কারণ এই যে প্রায় ৩ হাজারের মত সার্ভিস অটোমেশন হবে, অনেকগুলো সফটওয়্যার তৈরি হবে এগুলো করবে কারা, এগুলো করবে কিন্তু আমাদের দেশিয় কোম্পানি।”
সবশেষ পদ্মাসেতুর চালু হওয়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিনের সুবিধা আরো বিস্তৃত হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেজ্ঞ মোকাবেলায় সক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরি হবে প্রত্যন্ত এলাকাতেও।