দোয়েল ল্যাপটপ তৈরির প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি চেয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১০ম বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, এর আগের বৈঠকে (৩ আগস্ট) প্রতিমন্ত্রী পলক দোয়েল প্রকল্প ব্যর্থ হওয়ার কারণ জানতে চান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দোয়েল প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। সেই গর্বের জায়গাটি নষ্ট করা হলো, বিব্রত করা হলো। এর জন্য কে দায়ী তা সুষ্ঠু তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।
এরপর মোস্তফা জব্বার দোয়েল প্রকল্প সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে সচিবকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, দোয়েলের প্রথম চালান থেকে শুরু করে প্রকল্পের সব ব্যর্থতার জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। টেশিসকে ডিজিটাল ডিভাইস কারখানা হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে একটি সার্ভে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার চেষ্টা চলছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ খুবই ইতিবাচক। টেলিফোন শিল্প সংস্থা লিমিটেড (টেশিস) নিজেরা হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ না করে হাইটেক পার্ক ডিক্লেয়ার করে প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে ইনভেস্টমেন্ট করার প্রস্তাব করেন।
প্রায় ১০ বছর আগে সরকারের সাশ্রয়ী ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ‘দোয়েল’ তৈরি শুরু হয়। জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে দেশে তৈরি ল্যাপটপ সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে দোয়েলের উৎপাদন শুরু হয়। দায়িত্ব পায় টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস)। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অংশ ছিল এই দোয়েল। কিন্তু কিছু ল্যাপটপ তৈরির পর সেগুলোর মান নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে।
রোববারের বৈঠকে কমিটির সভাপতির অনুপস্থিতিতে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মো. নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা এবং অপরাজিতা হক বৈঠকে অংশ নেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থা প্রধানসহ প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।