যারা নিজেকে আরও মেলে ধরতে চান। প্রমাণ করতে চান নিজের যোগ্যতা। তাদের জন্য অনুপ্রেয়ণামূলক আন্তর্জাতিক মানের বই বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বইটির মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রচলিত নেতৃত্বের চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করে ইন্টারটেক গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আন্দ্রে লাক্রইরেক্স লেখা প্রথম বই ‘লিডারশিপ উইথ সোল’ ঢাকায় প্রকাশ করা হলো। বইটিতে বর্তমান ও ভবিষ্যত নেতৃত্বদানকারীদের চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুন করে উদ্ভাবনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লেখক।
এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সহযোগিতায় আইসিই সেন্টারের আয়োজনে, কয়কেশ’ শিক্ষার্থী এবং উদ্যমী নেতাদের সঙ্গে ‘মিট দ্য সিইও’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আন্দ্রে তার নিজের নেতৃত্বের যাত্রা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। ভাল নেতা হওয়ার জন্য তার বই ‘লিডারশিপ উইথ সোল’-এ তুলে ধরা ১০টি মুল নীতি নিয়েও কথা বলেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গেও দেখা করেন। অনুষ্ঠানটি স ালনা করেন আইসিই সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক মো. রাশেদুর রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ আবদুল মঈন, বই ও বইটিতে থাকা নেতৃত্বের মডেলের প্রশংসা করে বলেন, ‘লিডারশিপ উইথ সোল’ নিজের এবং অন্যদের সচেতনতা, সহানুভূতি, সততা, সত্যতা, বিশ্বাস ও স্বচ্ছতার উপর কেন্দ্র করে, নেতৃত্ব শৈলী বিকাশের জন্য ব্যবহারিক নির্দেশিকা এবং অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এই কাজটি নেতৃত্বের সাহিত্যে একটি অমূল্য সংযোজন।”
এদিকে আন্দ্রে তার সফরকালে শিল্প খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে তিনি সফল নেতৃত্বের কৌশলগত চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
আন্দ্রে বলেন, ‘এটা প্রচন্ডভাবে অনুপ্রেরণাদায়ক বই। এখানে অনেক লোকের সঙ্গে দেখা হয়েছে যারা সফল নেতৃত্বের প্রতি আমার মতো উৎসাহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে দেশের কয়েকটি বড় ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উষ্ণতা, উদ্দীপনায় আমি মুগ্ধ।’
আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং, পেপসিকো, বার্গার কিং, ইউরো ডিজনি, ই কেপ, রেকিট বেনকিজার এবং ইন্টারটেকের মতো বিশ্ব- নেতৃস্থানীয় সংস্থার সঙ্গে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্দ্রে তার অভিজ্ঞতার আলোকে লিডারশিপ উইথ সোল বইটিতে ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য একটি মডেল প্রকাশ করেছেন। আন্দ্রে তার সাফল্যের গুণাবলী হিসেবে সহানুভূতিশীল, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিলেন। যা গ্রাহক, কর্মচারী, শেয়ারহোল্ডার, সম্প্রদায় এবং সামগ্রিকভাবে সমাজের টেকসই উন্নতি ও মূল্য হিসেবে কাজ করে।
একটি গ্যালাপ সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী ৮০ শতাংশ কর্মজীবী নিজ কর্মস্থলে স্বতঃস্ফুর্ত নয়। প্রতিদিন ২.৮ বিলিয়ন ব্যক্তি নিরুসাহিত হয়ে কর্মক্ষেত্রে কাজ শুরু করেন। এটি একটি দুঃখজনক পরিসংখ্যান। এর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্র নিয়ে কর্মীদের অসন্তোষ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।
বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে এবং প্রাণবন্ত গল্প বলার মধ্য দিয়ে আন্দ্রে তার বইটিতে নেতৃত্বের ১০টি মূল নীতিকে তুলে ধরেছেন। তিনি সব সময় কর্মীদের বিশ্বাস ও ক্ষমতায়নকে শক্তিশালী করার জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। আন্দ্রের যুক্তি অনুযায়ী, এটাই স্টেকহোল্ডারদের টেকসই উন্নয়ন এবং সঠিক মূল্যায়নের একমাত্র উপায়।