বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ঘোষণা অনুযায়ী, একটি এনআইডির বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যায়। অর্থাৎ আপনি চাইলে আপনার নামে ১৫টি সিম কিনতে পারবেন। এর বাইরে নতুন করে সিম কেনার সুযোগ নেই। তবে আপনি চাইলে পুরনো সিমের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবেন।
নতুন করে সিম কেনার আগে আপনার উচিত নিজের নামে কয়টি সিম নিবন্ধন আছে তা দেখে নেওয়ার।
নিজের নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে জানার উপায়
সিম রেজিস্ট্রেশনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি প্রয়োজন। নিজের নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, এই তথ্যটি জানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনার নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে অপরাধমূলক কাজে তা ব্যবহৃত হলে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনার অজান্তে অনেকেই সিম রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন। তাই সমস্যায় পড়ার আগে সাবধানতা জরুরি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ঘোষণা অনুযায়ী, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যায়। ব্যবহার করছেন না কিন্তু আপনার নামে নিবন্ধিত, এমন অপ্রয়োজনীয় সিম সহজেই বাতিল করতে পারবেন। এজন্য ওই সিম অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যেয়ে তা বাতিল করতে পারবেন। কিন্তু তার আগে ওই সিমের নম্বর জানা জরুরি। চলুন জেনে নিই সিম নিবন্ধন যাচাই করার উপায়।
সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই করবেন যেভাবে
গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এবং টেলিটক, যেকোনো সিম থেকেই নিজের নামে নিবন্ধিত হওয়া সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো টাকার প্রয়োজন নেই।
প্রথমে মোবাইল থেকে *১৬০০১# ডায়াল করুন। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেখানে শেষের চারটি সংখ্যা দিয়ে সেন্ড করুন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যেই সিম থেকে জানতে চাচ্ছেন বা কোডটি ডায়াল করছেন তা অবশ্যই একই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে। ফিরতি মেসেজেই ওই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বরের তালিকা দেয়া হবে। সেই তালিকায় সব নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু নম্বরগুলো সম্পূর্ণ দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিন ডিজিট এবং শেষের তিন ডিজিট দেখানো হয়।