অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে বিল্ট ইন কিছু অ্যাপ দেয়া থাকে। সাধারণ কাজ সম্পাদনে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ডায়ালার বা ফোন অ্যাপ, মেসেজিং অ্যাপ, কনটাক্টস অন্যতম। অনেকের কাছে বিল্ট ইন মেসেজিং অ্যাপ খুব একটা ভালো লাগে না। চাইলে এখন অন্য মেসেজিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায়। মেক ইউজ অব সূত্রে হাজারো অ্যাপের মধ্য থেকে সেরা কিছুর সন্ধান পাওয়া গেছে।
গুগল মেসেজেস: এটি সাধারণত কোনো বিকল্প মেসেজিং অ্যাপ নয়। কেননা বর্তমানে নতুন সব ডিভাইসেই এটি ইনস্টল করা থাকে। অন্যান্য কোম্পানিও বর্তমানে গুগলের ফোন ও মেসেজ অ্যাপ ব্যবহার করে থাকে। স্যামসাংয়ের মতো কোম্পানি এর ডিভাইসে নিজস্ব ডিজাইনের মেসেজিং অ্যাপ দিয়ে থাকে। সেটি যদি পছন্দ না হয় তাহলে গুগলের মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। সাধারণ ও সহজ ব্যবহারের জন্য এটি ভালো।
পালস এসএমএস: মেসেজিং অ্যাপের ইন্টারফেস থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয় পরিবর্তনের দিক থেকে পালস এসএমএস অন্যতম। ম্যাটারিয়াল ডিজাইনের লুক ছাড়াও ব্যবহারকারীরা এখানে বিভিন্ন ফিচার ব্যবহারের সুবিধা পাবে। চাইলে এখানে মেসেজ বাবলের চেহারা পরিবর্তন করা যাবে, এমনকি অ্যাপ বা আলাদাভাবে কথোপকথনগুলোর রঙ পরিবর্তন করা যাবে। এছাড়া মেসেজ শিডিউল করা, নাম্বার ব্ল্যাকলিস্টে রাখা, আর্কাইভ করার সুবিধাও মিলবে। পেইড ভার্সনের অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনো প্লাটফর্ম থেকে মেসেজ দেয়া যাবে। পেইড অ্যাপ ক্রয়ে এককালীন ৫৯ ডলার ৯৯ সেন্ট ব্যয় হবে।
টেক্সট্রা এসএমএস: টেক্সট্রা মেসেজিং অ্যাপ খুব বেশিদিন আগে প্রকাশ্যে আসেনি। তবে সুবিধার কারণে ভালো গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এতে প্রশ্ন করার জন্য টেক্সট্রা বটও রয়েছে। এছাড়া এতে কাস্টমাইজেশনের বিভিন্ন ফিচার রয়েছে। চাইলে ইমোজিও পরিবর্তন করা যাবে এবং আইওএস স্টাইলের ইমোজি পাওয়া যাবে। একসঙ্গে একাধিক কথোপকথন এডিটের সুবিধা এবং মেসেজ বক্স থেকে চাইলে কলও করা যাবে। এটিকে ফ্রি অ্যাপ মনে হলেও ১৪ দিন পর্যন্ত ফ্রি ট্রায়ালের সুবিধা দিয়ে থাকে টেক্সট্রা। এরপর বিজ্ঞাপনসহ অথবা ওয়ান টাইম পেমেন্ট দিয়ে অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।
চম্প এসএমএস: টেক্সট্রার নির্মাতা কোম্পানিই চম্প এসএমএস প্রকাশ করেছে। চম্পে টেক্সট্রার মতো কোনো বট নেই। এছাড়া থিম, ইমোজি স্টাইল, আলাদাভাবে কথোপকথন এডিটের সুবিধা, শিডিউল মেসেজ, ব্ল্যাকলিস্টসহ আরো ফিচার রয়েছে। একটি ভালো দিক হচ্ছে এটিতে মেসেজ শিডিউল করার কোনো সীমা নেই।
মুড এসএমএস: বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন অ্যাপের মধ্যে মুড এসএমএস বেশ প্রচলিত। এর সেটিং মেনু খুবই রঙিন। এছাড়া এতে থাকা কিবোর্ডে আইওএসের মতো অ্যানিমেটেড ইমোজি রয়েছে। এখানে বিভিন্ন থিম ব্যবহার করা যায়। এছাড়া প্রাইভেট বক্সে কিছু মেসেজ চাইলে লুকিয়ে রাখা যাবে। এখানে ছোট চ্যাট হেড নোটিফিকেশন ফিচারও রয়েছে। এতে ইন-লাইন জিআইএফ ও ইউটিউব ভিডিও সাপোর্ট করে। অ্যাপটিতে ডেডিকেটেড ইমোজি স্টোর রয়েছে। যেখানে ফ্রি ইমোজি ডাউনলোডের পাশাপাশি ইন-অ্যাপ পারচেজের মাধ্যমে প্রিমিয়াম ইমোজি ব্যবহারের সুবিধা পাওয়া যাবে।
হ্যান্ডসেন্ট নেক্সট এসএমএস মেসেঞ্জার: বর্তমান সময়ের আধুনিক মেসেজিং অ্যাপের সব সুবিধাই হ্যান্ডসেন্ট নেক্সট এসএমএস মেসেঞ্জার অ্যাপে রয়েছে। এখানে যেকোনো কথোপকথনকে ফেভারিট হিসেবে চিহ্নিত, আর্কাইভ ও ব্ল্যাকলিস্ট ফিচারও রয়েছে। এছাড়া থিম পরিবর্তন, কথোপকথন ব্যাকআপ, শিডিউল, পিন কনভারসেশনের মতো প্রচলিত ও গুরুত্বপূর্ণ ফিচার রয়েছে। অ্যাপটি ইউজার ইন্টারফেস খুব বেশি আকর্ষণীয় নয়। ব্যবহারকারীদের জন্য এ অ্যাপে চ্যাট সিঙ্কের সুবিধা দেয়া হয়েছে। ফলে সেলফোন, কম্পিউটার ও স্মার্টওয়াচ থেকে সেগুলো দেখা যাবে। মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে এতে ড্রাইভিং মোড ফিচার রয়েছে। যেটি ড্রাইভিংয়ের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজের উত্তর দেবে। হ্যান্ডসেন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলে এর বেশকিছু ফিচার ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া ৫ ডলার ৯৯ সেন্ট ব্যয়ে বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান কার্যকর করা যাবে।