শক্তিশালী প্রসেসর স্ন্যাপড্রাগন এক্স এলিট নিয়ে এল কোয়ালকম। ৪ ন্যানোমিটার চিপ দিয়ে তৈরি প্রসেসরে ১৩৬ জিবি/এস মেমোরি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অ্যাপল, ইন্টেল ও এএমডির চেয়ে বেশি তথা সবচেয়ে শক্তিশালী প্রসেসর হিসেবে দাবি করছে কোয়ালকম। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
গিকবেঞ্চের ৬ বেঞ্চমার্কে (মাপকাঠি) ইন্টেল কোরআই ৭ প্রসেসরের চেয়ে স্ন্যাপড্রাগন এক্স এলিট ওপরে থাকবে বলে দাবি করেছে কোয়ালকম। মাল্টি-থ্রেডে প্রসেসরের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করে গিকবেঞ্চ ৬। বিষয়টি প্রমাণের জন্য একটি চার্ট দেখিয়েছে কোম্পানি। তবে চার্টে বিষয়টি সুস্পষ্ট নয়। এই চার্টে একক থ্রেডের কর্মক্ষমতা দেখানো হয়নি, যেখানে ইন্টেলের প্রসেসর অনেক ভালো কার্যক্ষমতা দেখায়। জিপিউ বেঞ্চমার্কে এএমডির রাইজেন ৯৭৯৪০ এইচএস থেকে কোয়ালকমের প্রসেসর বেশি কার্যকর বলে চার্টে দেখা যায়।
এ ছাড়া অ্যাপলের এম ২ চিপের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি কোর ব্যবহার করছে কোয়ালকম। তাই গিকবেঞ্চের মাল্টি থ্রেডস পারফরমেন্সে এটি অ্যাপল চিপের চেয়ে বেশি কার্যক্ষমতা দেখায়। এই মাসের শুরুতে স্ন্যাপড্রাগন এক্স ব্র্যান্ড আনার ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এই প্রসেসর দিয়ে তৈরি কম্পিউটারের বিক্রি শুরু হবে।
এ ছাড়া স্ন্যাপড্রাগ্রন সিমলেস নামে নতুন এক প্রযুক্তির ঘোষণা দেয় কোয়ালকম। এটি একটি সমন্বিত সিস্টেম হিসাবে কাজ করবে, যা ডেটা শেয়ারের কাজ করবে। এটি একটি ক্রস প্ল্যাটফর্ম প্রযুক্তি, যেখানে অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোজ ও স্ন্যাপড্রাগন-ভিত্তিক ডিভাইসগুলো সংযুক্ত করা যাবে। ড্র্যাগ ও ড্রপ করে ফাইল শেয়ার, স্ক্রিন শেয়ার বা এয়ারবাড স্বয়ংক্রিয়ভাবে কানেক্ট করার মতো কাজগুলো এই প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যাবে। সিমলেস স্ন্যাপড্রাগনের মোবাইল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা হয়েছে। মাইক্রোসফট, ডেল, লেনেভো, হনার ও অপ্পো কোম্পানি বর্তমানে এই প্রযুক্তির সহযোগী হয়েছে। তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার তখনই বৃদ্ধি পাবে, যখন বেশিসংখ্যক গ্রাহক কোয়ালকমের চিপভিত্তিক কম্পিউটার কিনবে।
স্ন্যাপড্রাগন এক্স এলিট ও স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ প্ল্যাটফর্মে ডিফল্ট হিসেবে স্ন্যাপড্রাগন সিমলেস পাওয়া যাবে। শাওমি, লেনেভো, মাইক্রোসফট ও কোয়ারকমের অন্যান্য সহযোগী কোম্পানিগুলো তাদের নতুন ডিভাইসগুলোতে এই প্রযুক্তির সর্মথন দেবে।