বিল বকেয়া থাকায় দেশের ৩৪টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯ টির ব্যান্ডউইথ ডাউন করে দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে গ্রাহকদের অনেকে ইন্টারনেটে ধীর গতি পাচ্ছেন।
বিএসসিপিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মির্জা কামাল আহমেদ এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসসিপিএলসির এমডি মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন আইআইজির ৩৮০ কোটি টাকার মতো বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলেরই বকেয়া ১০০ কোটির কাছাকাছি। যেসব আইআইজির টাকা বকেয়া আছে, তাদের সঙ্গে অনেকবার মিটিং করা হয়েছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ওপরের নির্দেশে ১৯টি আইআইজির গড়ে ২৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ তথা ৬২৫ জিবিপিএস ডাউন করা হয়েছে। টাকা পরিশোধ না করলে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।’
বিটিসিএলের বিষয়ে মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, ‘বিটিসিএল আহমেদ সবচেয়ে বড় ক্লায়েন্ট। শুনেছি, তারা এ সপ্তাহে ২০ কোটি টাকা পরিশোধ করবে। বকেয়া না দিলে তাদের সংযোগও বিচ্ছিন্ন হবে।’
দেশের মোট ব্যবহৃত (৫ হাজার ১০০ জিবিপিএস) ব্যান্ডউইথের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে বিএসসিপিএলসি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল) ব্যাকআপ থাকায় এবং আজ শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ইন্টারনেট সেবায় আপাতত ধীর গতির প্রভাব খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না। আগামী রোববার থেকে মূল প্রভাবটা বোঝা যেতে পারে।
আইআইজিদের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে গত ১৩ জুলাই বিএসসিপিএলসি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৯ আগস্ট টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসিকে চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এতে জানানো হয়, বিভিন্ন অপারেটরের কাছে বিএসসিপিএলসির বকেয়ার পরিমাণ ৩৮৪ কোটি টাকা। এরপর কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সামান্য কিছু টাকা পরিশোধ করে।
সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ কেনে কয়েকটি আইএসপি ও আইআইজি। আইআইজি থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে সরাসরি গ্রাহককে সেবা দেয় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ও মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।