বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এজন্য সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আসার বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।
পলক বলেন, সততার প্রশ্নে জিরো টলারেন্স। বিটিসিএল কর্মকর্তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ পেলে কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। একটা পয়সার দুর্নীতি হলে বা অর্থ অপচয় হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে বিটিসিএলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
বিটিসিএল কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অডিট করতে হবে। সেই প্রতিবেদন আমি দেখব। রিপোর্ট না থাকলে, সেটি করে আমাকে পাঁচ মাসের মধ্যে দেখাতে হবে। সেইসঙ্গে ইন্টারনাল একটি রিপোর্টও করতে হবে।
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যেসব জনবল নিয়োগ হয়েছে তা জানানোর নির্দেশনা দিয়ে পলক বলেন, লিডিং রেভিনিউ সোর্স কন্টিবিটার্স আমাকে জানাতে হবে। শেষ পাঁচ বছর কত আয় হয়েছে, সেটিও আমাকে জানতে হবে। ডেটা অ্যানালাইসিস করতে হবে। তাছাড়া গত পাঁচ বছরের ব্যয়ের খাতের ট্রেন্ড কী? সে অনুসারে কোথায় খরচ কমাতে হবে সেখানে নজর দেব।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আয় ও ব্যয় জানতে পারলে, সে অনুসারে কোথায় খরচ কম বা বেশি হচ্ছে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সময়, অর্থ, ব্যয় কমিয়ে কীভাবে এই খাতকে দেশ ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত করা যায় সেটি দেখতে হবে।
পলক বলেন, সততা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা হবে বিটিসিএলকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার মূলমন্ত্র। কোনো কিছু গোপন করা যাবে না। গোপন করা মানেই সেখানে অস্বচ্ছতা রয়েছে।
ব্যয় কমানোর আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, টেলিযোগাযোগের কোনো কোম্পানি লোকসানে থাকতে পারবে না। সুতরাং মুনাফায় যেতে হবে। বিটিসিএল লোকসানে থাকতে পারবে না। তাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে।