যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়েকে ‘পীড়ন’ করছে বলে অভিযোগ করছেন চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার হুয়াওয়ের একজন জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন আরোপিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রতিরোধে তাঁরা গুগলের সঙ্গে কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, কারণ জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক স্বার্থপরিপন্থী কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে হুয়াওয়ে।
গত সোমবার যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিভাগের পক্ষ থেকে হুয়াওয়ের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তিন মাসের জন্য শিথিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন অনুমোদন দিয়ে আগামী ১৯ আগস্ট পর্যন্ত হুয়াওয়েকে মার্কিন যন্ত্রপাতি কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমান টেলিকম নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা ও হুয়াওয়ে স্মার্টফোনে সফটওয়্যার আপডেটের প্রয়োজনে এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হুয়াওয়ের ওপর নির্ভরশীল টেলিকম অপারেটরদের বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নিতে সময় দেওয়া এর আরেকটি উদ্দেশ্য।
ভবিষ্যতে কঠোর লাইসেন্স অনুমোদন ছাড়া মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তৈরি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কেনাকাটায় হুয়াওয়ের ওপর এখনো নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা তাঁর কোম্পানির জন্য খুব সামান্য অর্থ বহন করে। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন।
গত রোববার ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেট হুয়াওয়ের সঙ্গে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে হার্ডওয়্যার স্থানান্তর, সফটওয়্যার ও কারিগরি সেবা রয়েছে। তবে যেগুলো ওপেন সোর্স বা সবার জন্য উন্মুক্ত সে সেবা পাবে হুয়াওয়ে।
গুগলের এ ঘটনার পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে হুয়াওয়ের প্রতিনিধি আব্রাহাম লিউ বলেন, ‘হুয়াওয়েকে সেবা বন্ধ করার ইচ্ছা গুগলের নেই বললেই চলে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের সিদ্ধান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও তার প্রভাব সামলাতে আমরা গুগলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।’
লিউ বলেন, ‘অ্যান্ড্রয়েডসহ গুগল সেবা বন্ধ করার ঘোষণায় গুগলের দোষ দেখছে না হুয়াওয়ে। এর প্রভাব নিয়ে এখনই কথা বলা ঠিক হবে না। মার্কিন প্রশাসনের উৎপীড়নের শিকার হুয়াওয়ে। এটা শুধু হুয়াওয়ের ওপর আক্রমণ নয়, এটা উদার, নিয়মভিত্তিক আদেশের ওপর আক্রমণ।’