নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক হর্তাকর্তা হয়ে উঠেছিলেন পলকের বান্ধবী তানজিলা খাতুন। টেন্ডার ও কমিশন সবই ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। কথায় কথায় সবাইকে ভয় দেখাতেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পিডি ও তার অনিয়মের বেলায় কথা বলতেন না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ১৪ আইটি প্রকল্পের ট্রেনিং কোর্স কোঅর্ডিনেটর এই কর্মকতার বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পরে থেকে অফিস করছেন না তানজিলা। অফিস না করেও ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার বিশেষ সহযোগিতায় বহাল তবিয়তে চাকরিতে আছেন তিনি ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কে পলকের সবচেয়ে কাছের সহযোগী ছিলন তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী তানজিলা খাতুন। পলকের এবং তানজিলা একই সাথে পড়ালেখা করেছে বলে তিনি সবাই পরিচয় দিতেন। নিজ প্রকল্প ও আইসিটি বিভাগের অন্যনা প্রকল্প থেকে কয়েকটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার মধ্যে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, কাজ পাইয়ে দেয়ার ব্যাপারে সহকর্মীদের সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছে, দেখিয়েছেন পলকের ভয়।
প্রকল্পের যাবতীয় অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে ওতোপ্রোতভাবে মিশে আছে তানজিলা খাতুন নাম। প্রকল্পের সকল ঠিকাদার, সাপ্লায়ার, সাব-কন্ট্রাক্টর হতে পলকের বান্ধবীর পরিচয়ে নিয়ম করে টাকা আদায় করতেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, হাই-টেক পার্কের একাধিক সূত্রে জানা যায় প্রকল্পের অবৈধ আয়ের একটা অংশ প্রতিমন্ত্রী পলকের কাছে চলে যেতো বলেই সকল অপকর্ম আড়াল হয়ে যেতো।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক জনবল নিয়োগে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ব্যাপক স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন পদে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের চাকরি পাইয়ে দিতে সুপারিসসহ আবেদনের শর্ত শিথিল, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিবর্তনসহ নানা অনিয়মের প্রমাণ এখন স্পষ্ট। নাটোর জেলার বিশেষ করে তার নির্বাচনী আসন সিংড়া উপজেলার অন্তত এক ডজন বাসিন্দাকে শুধু হাই-টেক পার্কই চাকরি দিয়ে গেছেন টানা তিন মেয়াদের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।