মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং গুগলের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আংশিক স্থগিতের কারণে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বড় ধরনের ধাক্কা খাবে হুয়াওয়ে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফুবন রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের হিসাবে, চলতি বছর হুয়াওয়ের স্মার্টফোন সরবরাহ গত বছরের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ কমে যাবে। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এ চীনা ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন উধাও হয়েও যেতে পারে।
ইউনিট সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে। ঘোষিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বাস্তবায়িত হলে চলতি বছর কোম্পানির স্মার্টফোন সরবরাহ ৪ থেকে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে হুয়াওয়ের সরবরাহে উল্লেখযোগ্য টান পড়তে পারে। তবে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন নিয়েই এখনো অনেকে সন্দিহান। এ কারণে আগামী ছয় মাসে হুয়াওয়ের সরবরাহ হ্রাস নিয়ে সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস দিতে চান না তারা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করে। এর ফলে মার্কিন কোনো কোম্পানি হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি বা বজায় রাখতে চাইলে ট্রাম্প সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে পণ্য ও সেবাদানকারী মার্কিনভিত্তিক অন্তত ২৫ শতাংশ প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি অমার্কিন প্রতিষ্ঠানও এর ভুক্তভোগী হবে। সার্চ জায়ান্ট গুগল এবং সফটব্যাংক গ্রুপের মালিকানাধীন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এআরএম এরই মধ্যে হুয়াওয়েকে সফটওয়্যার আপডেট দেয়া এবং পণ্য সরবরাহ স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
ফুবন রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের লিন্ড সুই বলেন, গুগলের সেবা আদায় করতে ব্যর্থ হলে আগামী বছরের মধ্যে হুয়াওয়ে পশ্চিম ইউরোপের বাজার সম্পূর্ণ হারাতে পারে। তিনি বলেন, আগামী বছর হুয়াওয়ের আন্তর্জাতিক সরবরাহ ২৩ শতাংশ কমবে। তবে চীনের বাজারের ওপর নির্ভর করে হুয়াওয়ে অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে বলে তার ধারণা।