বর্তমানে স্মার্টফোন বাজারে একটি শব্দ বারবার শোনা যাচ্ছে—“রিফার্বিশড” বা “Refurbished”। অনেকেই মনে করেন এটি পুরাতন বা খারাপ ফোন। আবার কেউ ভাবেন এটা কম দামে নতুন ফোন পাওয়ার সুযোগ! তাহলে আসলে রিফার্বিশড স্মার্টফোন কী? এবং এটি কেনা উচিত কিনা?
রিফার্বিশড স্মার্টফোন মানে কী?
রিফার্বিশড (Refurbished) স্মার্টফোন হচ্ছে এমন একটি ফোন যা আগে কেউ কিনেছিল কিন্তু কোনও কারণে ফেরত দিয়েছে। এরপর সেই ফোনটিকে কোম্পানি বা সার্টিফায়েড টেকনিশিয়ানরা মেরামত, পরীক্ষা ও ক্লিন করে আবার বিক্রির উপযোগী করে তোলে।
📦 এটি পুরোপুরি নতুন নয়, তবে নতুনের মতো অবস্থায় প্রস্তুত করা হয়।
রিফার্বিশড ফোনের ধরন
-
Customer Returned: ব্যবহারকারী পছন্দ না হওয়ায় ফেরত দিয়েছেন (অনেক সময় একদম নতুন অবস্থাতেই)।
-
Minor Defect Fixed: ফোনে ছোটখাটো সমস্যা ছিল, সারানো হয়েছে।
-
Display/Repaired Unit: শোরুমে ব্যবহার করা হয়েছিল, পরে ঠিক করে বিক্রি হচ্ছে।
-
Open Box: বক্স খোলা হলেও ব্যবহার হয়নি। শুধু রিটার্ন হয়েছে।
কেন রিফার্বিশড ফোন কিনবেন?
-
কম দামে ব্র্যান্ডেড ফোন – ২০-৫০% পর্যন্ত সাশ্রয়
-
পরীক্ষিত ও রিকন্ডিশনড – অনেক সময় সার্টিফায়েড রিপেয়ার
-
পরিবেশবান্ধব পছন্দ – ই-ওয়েস্ট কমায়
-
কিছু ব্র্যান্ড ওয়ারেন্টি সহ দেয়, যেমন Samsung বা Apple রিফার্বিশড
কী ঝুঁকি আছে?
-
সব সময় নতুনের মতো পারফরম্যান্স নাও পেতে পারেন
-
ওয়ারেন্টি না থাকলে রিস্ক বেশি
-
চায়না বা অননুমোদিত বিক্রেতা থেকে কিনলে প্রতারণার সম্ভাবনা
-
ব্যাটারি বা ডিসপ্লের পারফরম্যান্স তুলনামূলক কম হতে পারে
রিফার্বিশড ফোন কেনার আগে কী দেখবেন?
-
সার্টিফায়েড রিফার্বিশড কিনুন (Samsung, Apple, Amazon Renewed ইত্যাদি)
-
ওয়ারেন্টি আছে কি না
-
ব্যাটারি হেলথ ও পারফরম্যান্স রিপোর্ট
-
রিটার্ন পলিসি বা গ্যারান্টি আছে কি না
-
IMEI নম্বর চেক করুন – যেন চুরি হওয়া ফোন না হয়