মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। নিবন্ধন ফি কমানোর জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় যে প্রস্তাব দিয়েছিল সম্প্রতি তা অনুমোদন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে এখন থেকে গ্রাহকদের নিবন্ধন খরচ অর্ধেক কমে যাবে।
নতুন নির্ধারণ করা ফি তে এখন ১০০ সিসি বা তার নিচের ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেলের নিবন্ধনে খরচ হবে ২ হাজার টাকা। যা এতদিন ছিল ৪ হাজার ২০০ টাকা। আর ১০০ সিসির উপরের ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি হবে ৩ হাজার টাকা। যা আগে ছিল ৫ হাজার ৬০০ টাকা।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ জাপান যৌথ সরকারি বেসরকারি অর্থনৈতিক সংলাপ’ বৈঠকে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি বাজার মূল্যের ১০ শতাংশের মধ্যে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ঢাকাস্থ জাপানি রাষ্ট্রদূত শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মোটরসাইকেল নিবন্ধন খরচ কমানোর প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। জাপানের অনুরোধ, দেশের গ্রাহকদের সুবিধা এবং সব মোটরসাইকেল যাতে নিবন্ধনের আওতায় থাকে সেই চিন্তা থেকে ফি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে চলাচল সীমিত থাকলেও গত বছর সারাদেশে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৬টি মোটরসাইকেল নিবন্ধন নিয়েছেন গ্রাহকরা। ২০১৯ সালে সারাদেশে ৪ লাখ ১ হাজার ৪৫২টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন নিয়েছিলেন গ্রাহকরা। ২০১৮ ও ২০১৭ সালে যথাক্রমে এ সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৫ ও তিন লাখ ২৫ হাজার ৮৭৬টি। অর্থাৎ দেশে মোটরসাইকেলের ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।