এখনকার গাড়ি বা মোটরসাইকেলে ব্যবহার করা হয় টিউবলেস টায়ার। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এখনও টিউব টায়ারের উপরেই ভরসা রাখে গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এই দুই টায়ারের মধ্যে রয়েছে কী কী পার্থক্য এবং কেনই বা এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই টিউব টায়ারের উপরই বেশ ভরসা করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে।
টিউবলেস টায়ারের ক্ষেত্রে টায়ার ও চাকার রিমের মধ্যে কোনও টিউব থাকে না। টায়ার ও রিমের মাঝেই থাকে চাকার হাওয়া। অন্যদিকে, টিউব যুক্ত টায়ারের ক্ষেত্রে টায়ার ও চাকার রিমের মাঝে একটি হওয়া ভর্তি টিউব থাকে।
বর্তমানে এই টিউবলেস টায়ারের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনও টিউব যুক্ত টায়ারকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে।
আসুন, প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক টিউবলেস টায়ারের উপকারিতা।
রাস্তার মাঝে যদি কখনও আপনার গাড়িটি পাংচার, সেক্ষেত্রে টিউবলেস টায়ারের উপকারিতা লক্ষ্য করতে পারবেন আপনি। টিউবলেস টায়ারে পাংচার হলে, একেবারে আপনার টায়ারের সব হাওয়া বেরিয়ে যাবে না। এই টায়ারের ক্ষেত্রে ধিরে ধিরে টায়ারের হওয়া বের হয়। তাই যদি রাস্তায় পড়ে থাকা পেরেকে আপনার গাড়ির চাকাটি পাংচার হয়, সেক্ষেত্রে নিকটবর্তী গ্যারাজ পর্যন্ত গাড়ি অথবা বাইক চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়ে যাবেন আপনি।
এই টায়ারে যদি পাংচার হয় সেক্ষেত্রে চাকার রিম থেকে টায়ারটি সরাতে হবে না আপনাকে। যেহেতু এই ধরনের চাকায় কোনও টিউব থাকে না, তাই শুধুমাত্র লিকটি সারিয়ে ফেললেই আপনার কাজ হয়ে যাবে। এছাড়াও, টায়ারের ভেতরে কোনও টিউব না থাকার কারণে টায়ারের ভিতরে ঘষা কম লাগে। ফলে, অন্য টায়ারের তুলনায় টিউবলেস টায়ারটি বেশি ঠাণ্ডা থাকে। টিউবলেস টায়ারে হাওয়া সব দিকে সমানভাবে ছড়িয়ে যাওয়ার ফলে, এই টায়ারে ব্যালেন্স করার কাজটিও ভাল হয়।
টিউবলেস টায়ারের বেশ কিছু উপকারিতা থাকলেও, এখনও কিছু ক্ষেত্রে টিউব যুক্ত টায়ার ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ভারি গাড়ির টায়ার। এছাড়াও, যে সকল মোটর সাইকেলের চাকায় এখনও স্পোক ব্যবহার করা হয়, সেই সকল বাইকে এই টিউব যুক্ত টায়ারই ব্যবহার করা হয়। কারণ, এই ধরনের স্পোক চাকায় টিউব ছাড়া এয়ার টাইট রিমের জোগান দেওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। এছাড়াও, খারাপ রাস্তায় এধরনের স্পোকের চাকা অনেক বেশ নিরাপদ। এই ধরনের চাকার ক্ষেত্রে ভাঙা বা বেঁকে যাওয়ার প্রবণতা খুব কম। অন্যদিকে খারাপ রাস্তায় অ্যালয় হুইল ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেশি।