রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে যানজট এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। একটু দূরের পথে গন্তব্য হলেই যানজটে পড়ে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। কিন্তু একটি মোটরসাইকেল সেই ভোগান্তি লাগব করতে অনেকটা সহায়ক। দিন দিন জনপ্রিয় হওয়া বাহনটি রাজধানীতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।তবে মোটরসাইকেল কেনার আগে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। বিষয়গুলো মাথায় না রাখলে মোটরসাইকেল কেনায় প্রতারণার শিকার হতে পারেন।
বাজেট
মোটরসাইকেল অথবা স্কুটার কিনতে বেশ কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে বাজেট অন্যতম। মোটরসাইকেল কেনার জন্য আপনি কত টাকা খরচ করবেন তা নির্ধারণ করুন। বেশিরভাগ সময় ব্যাংক লোনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল কেনা হয়। তাই কত টাকা মাসিক কিস্তি দিতে পারবেন, কত সেভিং রয়েছে তার উপরে নির্ভর করছে মোটরসাইকেল কেনার বাজেট। এমনকি স্কুটার অথবা মোটরসাইকেল চালালোর জ্বালানি খরচ, রক্ষণাবেক্ষণের খরচও মাথায় রাখতে হবে। এছাড়া অন্যান্য চাহিদার বিষয়ে আপনার বাজেট নির্ভর করছে। আপনি যদি প্রথমবার নিজের স্কুটার অথবা মোটরসাইকেল কেনেন তবে পুরনো স্কুটার অথবা মোটরসাইকেল কেনা বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একবার চালানো শিখে গেলে ১-২ বছর পরে তা বিক্রি করে একটি নতুন মোটরসাইকেল কিনতে পারেন।
ব্র্যান্ড নির্বাচনে প্রাধান্য দিন
কোন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল আপনার জন্য উপযুক্ত তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে আপনি আপনার পরিবার বা বন্ধু মহলে যাদের বাইক আছে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন। নতুন মোটরসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে সর্বদা নির্ভরযোগ্য এবং জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের উপর গুরুত্ব দেওয়ার বিকল্প নেই। এতে মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা ও টেকসই নিশ্চিত হবে।
মডেল ও মাইলেজ
দুই চাকার কোন মডেল কিনবেন তা ঠিক করা খুবই কষ্টকর। মোটরসাইকেল যেন আরামদায়ক হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া মোটরসাইকেলের ওজন আপনার শারীরিক ক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে। এছাড়া পেট্রোলের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে মাইলেজের দিকেও আপনাকে নজর দিতে হবে। এক লিটার পেট্রোলে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ চলা যাবে এমন মোটরসাইকেলকে গুরুত্ব দিতে হবে।
ওজন
বাইক কেনার আগে অবশ্যই এর ওজন যাচাই করে নিন। মোটরসাইকেলের ওজন বেশি হলে তা সামলানো মুশকিল। যাদের ওজন বেশি, তারা মোটরসাইকেলের পিছনে আরো কাউকে বসালে তার ওজনসহ কতটুকু ওজন সহনীয় তা বিবেচনায় রাখতে হবে।
সব শোরুমের মোটরসাইকেল যাচাই করুন
মোটরসাইকেল কেনার আগে একের বেশি ডিলারের কাছে যান, শোরুম ঘুরে দেখুন। দাম শোনার পরে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কিছুটা সময় চেয়ে নিন। অন্তত ২-৩ টি ডিলারের কাছে দাম শুনে তবেই মোটরসাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নিন।
টেস্ট রাইড জরুরি
আপনি নিজে চালাতে না জানলে সঙ্গে এমন একজনকে রাখুন যিনি দুই চাকার গাড়ি চালাতে পারেন। হাইওয়ে ও শহরের রাস্তায় টেস্ট রাইড নিতে চেষ্টা করুন।
মুখের চাপাবাজিতে বিশ্বাস করবেন না
মোটরসাইকেল কেনার আগে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম আলাদা আলাদা করে জেনে নিন। শোরুম থেকে কেনার খরচ ও রেজিস্ট্রেশনের খরচ আলাদা ভাবে জানুন।
অবশ্যই দর কষাকষি করুন
কেনার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ডিলারকে দাম কমানোর অনুরোধ করুন। ক্যাশে কিনলে কত সস্তা হবে তা জিজ্ঞাসা করুন। কয়েক জায়গা ঘুরে যেহেতু দাম সম্পর্কে আপনার ধারণা হয়ে যাবে সেহেতু একটু দামাদামি করে কম দামে মোটরসাইকেল নিতে পারবেন।