দারাজ একদিন বাংলাদেশের আলিবাবা হবে, সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীতে দারাজ বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির পঞ্চম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দারাজ বাংলাদেশ মাত্র ৫ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করে মাত্র পাঁচ বছরে ৫শ জনের একটি টিম কাজ করছে। আমি আশা করছি আমাদের দারাজ একদিন বাংলাদেশের আলিবাবা হবে এবং সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
পলক বলেন, দারাজের এই পাঁচ বছরের সাফল্যকে বাংলাদেশ অন্যান্য ইকমার্স খাত রোল মডেল হিসেবে নেবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমি মনে করি চারটি বিষয়ের উপর ইকমার্স নির্ভর করে। ১. ইন্টারনেট, ২. পেমেন্টগেটওয়ে, ৩. লজিটিক্স এবং ৪. বিশ্বাস। আমাদের সরকার প্রথম তিনটি বিষয় নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করে আসছে এবং সামনে আরো কিভাবে ভালো করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবেন।
এসময় দারাজের পঞ্চম বর্ষপূর্তিতে দারাজ পরিবারের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও আগামী দিনেও একই ভাবে দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে শুভকামনা প্রকাশ করেন তিনি। দারাজের ৫ বছরের এই স্বল্প সময়ের মধ্যে এত বড় অর্জন দেখে আমি নিজেও অনেক উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সব সময় উদারনীতির উপরে বিশ্বাস করে বাংলাদেশের ই-কমার্স মাত্র শুরু হয়েছে, সেটটা অনেক দূর এগিয়ে যাক এবং দারাজের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশকে চিনবে এ আশা রাখি । দারাজের ৫ বছরের এই স্বল্প সময়ের মধ্যে এত বড় অর্জন দেখে আমি নিজেও অনেক উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার ফুয়াদ আরেফিন তন্ময়, চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসকিন আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দারাজ গ্রুপের গ্লোবাল কো-সিইও জনাথন ডোয়ার প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করা দারাজ বাংলাদেশের ১ নম্বর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কর্মরত রয়েছে প্রায় ২০০০ কর্মী। ইতিমধ্যেই দারাজ(daraz.com.bd) গড়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স সর্টিং সেন্টার ও দেশের বিভিন্ন যায়গায় কালেকশন পয়েন্ট। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সাড়া দেশের ৩৩ জেলায় রয়েছে নিজেস্ব হাব। দারাজে রয়েছে প্রায় ৫০ লাখ পণ্য এবং বর্তমানে প্রায় ১৫,০০০ সেলার দারাজের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রয় করছে।