বাজারে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ই-কমার্স ফার্মগুলোকে সরকারের কাছে নিয়মিতভাবে অর্থায়নের হিসাব জমা দিতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য ভারত সরকারের জারি করা নতুন একটি নির্দেশনায় এমনটাই জানানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো ভারতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, এমন ই-কমার্স কোম্পানিগুলোকে প্রতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরকারের কাছে আর্থিক প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। প্রতিবেদনটি অবশ্যই নিয়মনীতি মেনে হিসাব নিরীক্ষকের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। মূলত ভারতের আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে এসব কোম্পানিকে আরো উৎসাহ প্রদানের জন্য এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভি ও ইকোনমিক টাইমস।
সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের (এফইএমএ) ১৫ নম্বর ধারার আওতায় ভারতের কার্যক্রম পরিচালনারত ই-কমার্স সাইটগুলোর কাছে বাৎসরিক ভিত্তিতে আর্থিক প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
এ আইনের ১৫-এর ২ ও ৩ উপধারায় এসব প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা নিরীক্ষণের পর সরকারের কাছে দাখিল করতে হবে।
নতুন এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ই-কমার্স সাইটগুলোর অর্থায়নসংক্রান্ত কার্যাবলি আরো স্বচ্ছ হবে। এসব প্রতিষ্ঠান আইন মেনে চলতে উৎসাহী হয়ে উঠবে। বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘিত হলে তা সরকারের পক্ষ থেকে যাচাই করা যাবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ব্যয়েও লাগাম টানা সম্ভব হবে। এমনটাই মনে করছে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
ভারতের বাজারের বৈশ্বিক ই-কমার্স সাইটগুলোর অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিয়ে দেশটির বাণিজ্য সংগঠনগুলো আগে থেকেই সোচ্চার ছিল। কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সরকারি নজরদারি বাড়ানোর দাবি তোলা হয়েছিল। তাদের মতে, বৈশ্বিক ই-কমার্স সাইটগুলো ভারতে কী পরিমাণ বিনিয়োগ করছে, তাদের অর্থায়নের উৎস ইত্যাদি সম্পর্কে সরকারের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য থাকা জরুরি। এতে ক্রমবিকাশমান ই-কমার্স খাতের ব্যবসায় অস্বচ্ছ প্রতিযোগিতা তৈরি হবে না। এমন দাবির মুখে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ই-কমার্স সাইটগুলোর জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।