প্রতিকূল মুহূর্তেও গ্রাহকদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল। শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় রাসেল যতদিন পর্যন্ত ব্যাংক হিসেব সচল না হয় ততোদিন ক্যাশ অন ডেলিভারির (পণ্য পেয়ে মূল্য পরিশোধ) মাধ্যমে পণ্য বিক্রির ঘোষণা দেন।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে ক্যাশব্যাকের নামে গ্রাহকের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠছে ইভ্যালির বিরুদ্ধে। একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রচারের পর দেশজুড়ে ইভ্যালির কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
‘ইভ্যালি’র বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় প্রতিষ্ঠানটি এবং এর চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১৯ অনুযায়ী আগামী ৩০ দিনের জন্য ইভ্যালির চেয়ারম্যান এবং এমডির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সকল লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সময়ে ইভ্যালির আর্থিক লেনদেন এবং অন্যান্য ই-বাণিজ্য কার্যক্রম তদন্ত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
লাইভে রাসেল বলেন, ডিজাটাল বাংলাদেশে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে ইভ্যালি। দেশিয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইভ্যালির বেড়ে ওঠা দেশের হাজার হাজার তরুণকে উৎসাহ জোগাবে।
রাসেল ক্রেতাদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা যারা এতোদিন ফ্রি পেমেন্ট এর ভয়ে বা অন্য কোনো বিষয়ে ভেবে পণ্য অর্ডার করেননি তাদের অনুরোধ থাকবে এবার পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধ করে হলেও আপনারা ইভ্যালি থেকে পণ্য কিনেন। আমরা যতোদিন না আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারি একটা লোকাল ই-কমার্স হিসেবে আমাদের পাশে দাঁড়ান।
‘আপনাদের ল্যাপটপ, মোবাইল, খাবার যাই দরকার হয় আমাদের থেকে অর্ডার করুন। আপনার পণ্য হাতে পেয়ে তারপর মূল্য পরিশোধ করবেন।’
সূত্রমতে ইভ্যালিতে বর্তমানে ৩৫ লাখ গ্রাহক নিবন্ধিত রয়েছেন। প্রতিমাসে প্রতিষ্ঠানটি ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন করে। প্রতিষ্ঠার পর ২০ মাসে গ্রাহকের কাছে দেড় হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে ইভ্যালি।
বিপুল পরিমাণ গ্রাহককে একজায়গায় আনার জন্যই বিভিন্ন ধরনের ক্যাশব্যাক অফার দেয়া লাগতো উল্লেখ করে রাসেল বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্যাশব্যাক অফার দেয়ায় আমাদের কার্যক্রম নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু তাদের ভাবা উচিত যে, আমরা লস দেয়ার জন্য ব্যবসা করছি না।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যদি বাজারের কোনো ১০০ টাকার পণ্য আমি ৩০ টাকায় কিনতে পারি এবং সেটা আমি ১০০ টাকায় বিক্রি করিও তারপরেও আমি আমার লাভের অংশ থেকে ক্যাশব্যাক অফার দিতে পারি। এমন কিছু ব্যবসায়িক বিষয় আমরা অবলম্বন করি যা সচারচার যেসব ব্যবসায়িক পদ্ধতি মার্কেটে চলমান তার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। কিন্তু তার মানে এই না যে, আমরা খারাপ কিছু করছি।