গত পাঁচ বছরে প্রায় ৩০ গুণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে দেশের ই-কর্মাস ব্যবসায়। দেশে ডিজিটাল ব্যবসার সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ই-কর্মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।
এক প্রেজেন্টেশনে প্রবৃদ্ধির এই ধারাবাহিক উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৬ সালের পরে থেকে দেশে ই-কর্মাস ব্যবসার প্রবৃদ্ধি হতে শুরু করেছে। ২০১৭ সালে ই-কর্মাস বাজারের আকার ছিল ৮৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন টাকা। ২০১৮ সালের শেষে গিয়ে এই বাজারের আকার দাঁড়ায় ১০৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন টাকা, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে ই-কর্মাসের আকার ছিল ১৩১ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন টাকা।
আর চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষে দেশে ই-কর্মাস বাণিজ্যের বাজার ১৬৬ দশমিক ১৬ বিলিয়ন টাকা।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই ব্যবসার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর অনলাইন কেনাকাটায় লেন-দেনের ২০ শতাংশই হয়েছে মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে।৮০ শতাংশ বিক্রি হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ সালে অনলাইনে লেনদেন হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ২৯৫ কোটি টাকায়। ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধিতে ২০১৮ সালে এক হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা, ২০১৯ সালে এক হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
তবে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এক ধাক্কায় এই লেনদেন দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এই সময়ে অনলাইনে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় করোনা ভাইরাস পরবর্তী সময়ে দেশে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১৪ শতাংশ।