দেশের নতুন ইকমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশামার্ট এর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই! গ্রাহকরা প্রতিদিন নানা অভিযোগ নিয়ে আসছেন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি কাস্টমার কে বাইক ডেলিভারি করার নামে নানা ভোগান্তিতে ফেলছে। প্রতিদিন এমন ভোগান্তি বেড়েই চলছে। অভিযোগ করেও ফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
রংপুরের রানা গত ২২ জানুয়ারি আলেশামার্টে একটি বাইক অডার করে। রানার অডার নং- ৫৫৯১ । রানকে ফোন করে তাকে কনফার্ম করা হয় ০৬ ফ্রেবুয়ারী বাইক ডেলিভারি করা হবে এস কে ট্টেডার্স থেকে। রানার পারিবারিক সমস্যা থাকায় নির্দিষ্ট তারিখে বাইক ডেলিভারি নিতে পারেনি। পরদিন ০৭ ফেব্রুয়ারি রানা এসকে ট্রেডাসে গেলে বাইক তারা ডেলিভারি করবে না বলে জানায়। কবে করবে তারা সেটাও নির্ধারিত বলতে পারে না।
এভাবে প্রতিদিন গ্রাহকদের ভোগান্তিতে ফেলেই চলছে আলেশামার্ট। প্রথমে তারা ২-৫ দিনে ডেলিভারি করার কথা থাকলে পরবর্তীতে তারা ঘোষনা করে ১-৩৫ দিনে ডেলিভারি করবে। কিন্ত ডেলিভারির নামে চলছে ভোগান্তি।
রাহাদুল নামে আরেকজন অভিযোগ করেন, রোববার (০৭ ফ্রেবুয়ারী) বাইক ডেলিভারি আপডেট জানার জন্য সকাল ১০ থেকে দুপুর ৩ টা পযন্ত হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি আপডেট জানতে পারে নাই।
আবদুল্লাহ আল নাসিফ নামে একজন অভিযোগ করেন, তাকে দুপুর ১২ টার সময় বাইক ডেলিভারির নেওয়ার জন্য রংপুর থেকে ডাকলেও সাড়ে ৪ ঘন্টা বসিয়ে রেখে বাইক ডেলিভারি দেওয়া হয়। এমনকি জোরপূর্বক পজেটিভ রিভিউ দিতে বলা হয়।
শামসুল ইসলাম নামে একজন অভিযোগ করেন, পরিবারের সদস্যদের জন্য কয়েকটি বাইক অডার করেন তাহার অডার নং.১৯৬৮,২০০৮,৩৩৫৯,৩৩৮৪,৩৪৩১…আপডেট জানার জন্য হেল্পলাইনে কল করলে আলেশামার্ট তাহার সাথে খারাপ আচারন/হুমকি দিয়ে অর্ডার বাতিল করে রিফান্ড করে দেয়।
হেল্পলাইনে বলা হয় আলেশামার্টে নামে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেও কোন লাভ হবে না। তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী বাইক ডেলিভারি/বাতিল করা হবে। সামান্য পরিমাণ বাইক ডেলিভারি করলেও মানা হচ্ছে না সিরিয়াল। যদিও অডার নেওয়ার পূর্বে বলা হয়েছিলো আগে আসলে আগে পাবেন।
তাছাড়া অনেকেই অভিযোগ করেন স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বাইক বেছে বেছে ডেলিভারি করা হয়। নিজেদের লোকজন দিয়ে আলেশামার্ট এর রিভিউ নাকি দেওয়া হয় নতুন কাস্টমারদের কাছে টানার জন্য। এরকম ঘটনা অনেকের সাথেই ঘটছে। তাই সংশ্লিষ্ট অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে আলেশামার্ট এর ভবিষ্যাত নিয়ে?