পণ্যের অর্ডার দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া, তাতে ব্যর্থ হলে অগ্রিম নেওয়া পণ্যমূল্য জরিমানাসহ ফেরত দেওয়া, খারাপ পণ্য সরবরাহকে ফৌজদারি আইনের আওতায় প্রতারণা হিসেবে গণ্য করা হবে ।
অর্ডার সম্পন্ন হওয়ার পরে এলাকা ভেদে সাতদিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি না দিলে জরিমানা গুনতে হবে ই- কমার্স কোম্পানিকে। এটি করতে ব্যর্থ হলে ই- কমার্স কোম্পানিকে জরিমানার পাশাপাশি গ্রাহককে টাকা ফেরত দিতে হবে। এমনকি তারা পণ্য সরবরাহ জালিয়াতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রেতার হাতে পৌঁছে ও অগ্রিম নেওয়া পণ্যমূল্য ৭ দিনের মধ্যে ফেরত না দিলে ক্রেতা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মামলা করতে পারবে ।
জালিয়াতি এবং দেরিতে পণ্য ডেলিভারি রোধে এসব শর্ত যুক্ত করে ই-কমার্স নীতিমালা চূড়ান্ত করল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
জেনে আসা যাক এই নীতিমালায় ই-কমার্স তথা ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের কেমন কাঠামো ও কী কর্মপরিকল্পনা দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে ওয়েবসাইট ভিত্তিক ই-ক কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পা্রয় ২০০০টি। এছাড়াও ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ভিত্তিক ৫০ হাজার উদ্যোগ রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিদ্যমান অসংগতি হ্রাস এবং গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে সরকার ই- কমার্স খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য নীতিমালা তৈরি করছে।
মন্ত্রণালয়ের আশা গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন করা গেলে আগামী বছর ই- কমার্স খাতে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
ক্রেতা-বিক্রেতার অবস্থান একই জেলায় হলে ডেলিভারিম্যান সাতদিনের মধ্যে পণ্য ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেবেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হলে ক্রেতার কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম নেওয়া মূল্য ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা গুণতে হবে সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স কোম্পানিকে।
নীতিমালার খসড়ায় এছাড়াও বলা হয়েছে, কোনো পণ্য কোম্পানির স্টকে না থাকলে সেই পণ্যের অর্ডার নেওয়া যাবে না। অনলাইনে প্রদর্শিত পণ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক সঠিক স্পেসিফিকেশন উল্লেখ থাকতে হবে, যাতে ক্রেতারা পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন।
ভালো মানের পণ্যের ছবি ও স্পেসিফিকেশন দেখিয়ে খারাপ পণ্য ডেলিভারি করলে প্রতারণা হিসেবে গণ্য করা হবে। এজন্য ফৌজদারী আইনের ৪২০ ধারা অনুযায়ী কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করতে পারবেন ক্রেতারা।